সংখ্যালঘু সুরক্ষায় অবিলম্বে আইন চায় নির্মূল কমিটি

0
698
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

সাম্প্রদায়িক হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা বন্ধে অবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। পাশাপাশি ফেসবুকসহ অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে ধর্মীয় ও বিদ্বেষমূলক পোস্ট দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্টে তৎপর ব্যক্তিদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবির। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সংগঠনের আইন সহায়ক কমিটির সভাপতি খোন্দকার আব্দুল মান্নান, মিরপুরের আলীমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমেশ কান্তি ঘোষ, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ধর্মীয় সহিংসতা সৃষ্টি করে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকেও তারা যথেষ্ট সুরক্ষা পাচ্ছে না। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সম্প্রীতির বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

বর্তমানে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার ও তাদের বাড়িঘর দখলের সঙ্গে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা জড়িত কি-না, এমন প্রশ্নে শাহরিয়ার কবির বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও তাদের জমিজমা, ঘরবাড়ি দখলে ১ নম্বরে রয়েছে বিএনপি-জামায়াত। জাতীয় পার্টিও এ কাজ করেছে। পাশাপাশি (এখন) সরকারদলীয় লোকজনও জড়িত বলে আমরা এর আগে বিভিন্ন সেমিনারে তুলে ধরেছি।’

শাহরিয়ার কবির বলেন, ফেসবুকে সম্প্রতি মিরপুরের আলীমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমেশ কান্তি ঘোষের নামে বিদ্বেষমূলক পোস্ট দিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলাসহ বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এসব হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের সহযোগী উগ্র মৌলবাদীদের রাজনৈতিক এজেন্ডা। তিনি রমেশ ও তার পরিবারের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারেরও দাবি জানান।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, এর আগে একটি অনলাইন পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন করা হয়। তখন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিকার চেয়েও পাননি। তাহলে একজন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কীভাবে প্রতিকার পাবে? তাহলে ধরে নিতে হবে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হয়তো এর প্রতিকার করতে ব্যর্থ, না হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের পক্ষেই কাজ করছে।’ তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জন্য বর্তমানে ফেসবুক প্রধান ভূমিকা রাখছে।

শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা এটি পছন্দ করে না। এ জন্য তারা বারবার মিথ্যাচার করে, গুজব রটিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এ ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.