শ্রম আইন সংশোধনে তাড়াহুড়ো না করার আহ্বান আইএলও’র

0
114
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক

শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে আলোচনা করে করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইএলও’র পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা শ্রম আইনের যে সংশোধন, সেটা করার বিষয়ে বসেছিলাম। এর আগে সংশোধনীর কথা হয়েছিল, সেখানে কিছু নতুন সংশোধনী আনার ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয় আমাকে জানিয়েছিল। সে বিষয়ে আইএলও কিছু বক্তব্য দেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছে।

তিনি বলেন, দুদিন আগে আইএলও অনুরোধ জানিয়েছে জেনেভায় আইএলও-এর একটি টিম আমাদের এই মিটিংয়ে থাকতে চায়। আজ চারজনের টিম ছিল। সেখানে প্রত্যেকটা ধারা নিয়ে আলোচনা করি। আমরা চাচ্ছিলাম শ্রম আইনটা এই পার্লামেন্টে পাস করার জন্য। কিন্তু তারা যে পরামর্শ দিয়েছে, সেটা করতে গেলে এই পার্লামেন্টে সেই পরামর্শগুলো ইনকরপোরেট করব কি করব না, সেটার সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। সেজন্য আলোচনা হয়েছে ওনারা যে পরামর্শ দিয়েছেন, সেটা পরে বিবেচনা করা যায়, এখন এই শ্রম আইনটা পাস করা যায়। তখন তারা বলেন তাড়াহুড়ো না করে আমরা আলোচনা করে আরও কিছু করতে পারলে ভালো হবে, সেটা তারা জানালেন।

আনিসুল হক বলেন, আমি তাদের পরিষ্কারভাবে একটা কথা জিজ্ঞেস করেছি যে, আইএলও’তে আমাদের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে একটা অভিযোগ চলে যাচ্ছে। প্রত্যেকবারই বলেন যে, এটা মার্চ মাসে সিদ্ধান্ত হবে না, নভেম্বরে যাবে। আবার নভেম্বরে হবে না মার্চে যাবে। আমি সেজন্য বলেছি মার্চ মাসের গভর্নর বডির মিটিংয়ে যদি বলেন, এটা আবার নভেম্বরে যাবে। সেটা তো আমরা নিতে রাজি না। তখন তারা বলেছে, কমপ্রিহেন্সিভ লেবার অ্যাক্ট (সমন্বিত শ্রম আইন) তাদের পরামর্শ মিলিয়ে যদি করতে পারি তাহলে সেটা এই মার্চ মাসে আমাদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা হবে না, বরং আমরা যে আলোচনাগুলো করছি সেটার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

আইনমন্ত্রী বলেন, এটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন নীতিনির্ধারকরা। আর তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, আমি যে কথাই বলি না কেন এবং আজকের যে আলোচনা সেটা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা করতে পারব।

আজ তারা কী পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, মূল সাজেশন হচ্ছে ধরুন ব্যাপারটা হচ্ছে সংজ্ঞা, সংজ্ঞার মধ্যে তারা বলছেন ‘সি মেন্ট’ যেটা সেটার নাম বদলিয়ে ‘সি ফেয়ার’ নাম করা। তারপরে বলছে ম্যানেজার এবং সুপারভাইজার স্টাফদের ওয়ার্কার বলা, এগুলো আমাদের সাথে তাদের আলোচনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। ব্যাপারটি হচ্ছে আগে কথা ছিল ১৫ শতাংশ শুধু হবে তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে যেসব কারখানা শ্রমিক আছে তাদের। এখন আমরা সেটাও তুলে দিচ্ছি। শ্রমিকদের ব্যাপারে ১৫ শতাংশ কাজ করবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.