দেশের যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবার পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু

0
108

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু করেছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম সিন্ডিকেট সভায় পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, একজন শিক্ষক ১৫ দিনের পিতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন।

ডিপিডিসিতে চাকরি, বেতন-ভাতার পাশাপাশি আছে পরিবহনসুবিধা

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান রিফাত-উর-রহমান আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেট সভায় পিতৃত্বকালীন ছুটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এ নিয়ম ইতিমধ্যে কার্যকর করেছে। চলতি অক্টোবর থেকে যদি কোনো শিক্ষক সন্তানের বাবা হন, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী তিনি ১৫ দিনের পিতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। সর্বোচ্চ দুই সন্তানের জন্য পিতৃত্বকালীন ছুটি পাওয়া যাবে। শিক্ষা ছুটিতে থাকাকালীন যেসব সুবিধা পাওয়া যায়, পিতৃত্বকালীন ছুটিতেও সেসব সুবিধা পাওয়া যাবে।

তিন বিসিএসের ক্যাডার ও নন–ক্যাডারের ফল একসঙ্গে দিতে চায় পিএসসি

রিফাত-উর-রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান চালু করল। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের নামে প্রতিষ্ঠিত। যেহেতু বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত, তাই এ প্রতিষ্ঠানের নিয়মও বিশ্বজনীন হওয়া উচিত। বৈশ্বিক পরিসরের বিষয়টি চিন্তা করে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান চালু করা হয়েছে।’

নতুন নিয়োগ বিধিমালার পর এটিইও পদের স্থগিত হওয়া বিজ্ঞপ্তির কী হবে

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শাহ্ আজমের সভাপতিত্বে ২৪তম সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ফিরোজ আহমদ, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জহুরুল ইসলাম, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুব্রত ভৌমিক, লেজিসলেটিভ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর ও রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী।

ইস্টার্ন ব্যাংকে ট্রেইনি অফিসার পদে চাকরি, বেতন ২৮ হাজার টাকা

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন, ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় একটি নবীন বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তরুণ ও মেধাবী শিক্ষকেরা পাঠদান করছেন। পাশাপাশি তরুণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীও রয়েছেন। তাঁদের সন্তানদের দেখাশোনার জন্য আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধানটি আমলে নিয়েছি। একজন সন্তানের কাছে মা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, বাবার ভূমিকাও তেমন গুরুত্বপূর্ণ। পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধানটি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। ফলে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে আরও বেশি মনোযোগী হবেন।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.