শুভ জন্মাষ্টমীর মিছিল

0
1189
জন্মাষ্টমীতে ঘরে ঘরে ভক্তরা উপবাস থেকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা ও পূজা, গীতাযজ্ঞ, জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রা, কৃষ্ণপূজা, পদাবলি কীর্তন করে থাকেন।

শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি ছিল শুক্রবার। শাস্ত্রমতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথির এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, অশুভ শক্তিকে দমন করে কল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অবতার হিসেবে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য যুগে যুগে ভগবান মানুষের মধ্যে অবতীর্ণ হন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর জন্মতিথিকে জন্মাষ্টমী হিসেবে উদযাপন করা হয়। ঢাকাসহ সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী উদযাপন করে থাকে।

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে বেলা সাড়ে তিনটায় জন্মাষ্টমীর কেন্দ্রীয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি পলাশী হয়ে শহীদ মিনার, হাইকোর্টের সামনে দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) ভবন ও নবাবপুর হয়ে বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় শ্রীকৃষ্ণের সাজে এক শিশু।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ছোট ছোট শিশুরা শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার সাজে সেজে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
শ্রীকৃষ্ণের সাজে সেজেছেন এক যুবক।
রাজধানীর পলাশীর মোড়ে বিকেল সাড়ে তিনটায় জন্মাষ্টমী মিছিলের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের আয়োজনে জন্মাষ্টমীর কেন্দ্রীয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভক্তরা।
শোভাযাত্রায় রাজধানীর সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তরা অংশ নেন। এ ছাড়াও অংশ নেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন।
জন্মাষ্টমীর মিছিলটি পলাশী থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকেশ্বরী কেন্দ্রীয় মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
শুক্রবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ ও রাতে কৃষ্ণপূজা এবং কাল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় শ্রীকৃষ্ণের সাজে বের হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে এই শিশু।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.