শুধু বড় বাজেটের নাটক হলেই দর্শকের মন পাওয়া যায় না: রিচি

0
828
রিচি সোলায়মান

রিচি সোলায়মান। অভিনেত্রী ও মডেল। আসছে ঈদুল আজহায় একাধিক নাটক ও টেলিছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। কথা হলো তার সঙ্গে-

শুনলাম, এবার মাত্র ৩ মাসের জন্য দেশে এসেছেন। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি নাটক ও টেলিছবির কাজ করেছেন। সে ক্ষেত্রে বাছ-বিচার করে কাজের সুযোগ পেয়েছেন কি?

কোন ধরনের গল্প বা চরিত্রে অভিনয় করব- এটা নিজের ওপর নির্ভর করে। সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কাজ করব, নাকি আত্মতৃপ্তির জন্য- সে সিদ্ধান্ত যার যার নিজস্ব। আসল কথা হলো, ভালো কাজের জন্য ইচ্ছা থাকা জরুরি। এ জন্য তিন মাসের এই সফরে প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের পাশাপাশি ভালো কিছু নাটক, টেলিছবিতে অভিনয় করেছি। প্রস্তাব অনেক পেয়েছি, কিন্তু তাড়াহুড়ো করে কোনো কাজ করতে চাইনি।

সম্প্রতি মাছরাঙা টিভিতে প্রচারিত ‘রাঙা সকাল’ অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র প্রযোজনা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?

ঠিক হুট করে নয়; অনেক পরিকল্পনা করেই চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন ‘কনটেন্ট’-এর যুগ। দর্শক গৎবাঁধা কোনো কিছু দেখতে চান না। শুধু বড় বাজেট দিয়ে দর্শকের মন পাওয়া যায় না। তাছাড়া বহু তারকার সমাগম ঘটালেই যে সিনেমা হিট হবে- সে দিনও নেই। বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রের একই ধারা চলছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী বলিউড ইন্ডাস্ট্রির দিকে তাকালে বোঝা যায়, প্রতিষ্ঠিত তারকাদের চেয়ে তুলনামূলক তরুণরা ভালো করছেন। নতুন কনসেপ্ট ও ভালো নির্মাণশৈলৗর কারণে তা সম্ভব হচ্ছে। আমাদেরও চিরায়ত প্রেম-ভালোবাসার গল্পের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নতুনভাবে চিত্রনাট্য উপস্থাপন করতে হবে। ভিন্নধর্মী কোনো কিছু যদি দর্শক না খুঁজে পান, তাহলে সিনেমার প্রতি আকৃষ্ট হবেন না। সে ধরনের সিনেমা প্রযোজনা করতে চাই, যেখানে দর্শক ভিন্নতা খুঁজে পাবেন।

এখন ছবি প্রযোজনা আর্থিকভাবে যতটা ঝুঁকিপূর্ণ, ততটাই চ্যালেঞ্জিং- এটা জেনেও কোন ভাবনা থেকে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছেন? 

কথায় আছে- ‘আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে’। অনেকটা এ উক্তির ওপর ভিত্তি করেই প্রযোজনায় এসেছি [হাসি]। এটা সত্যি যে, বেশ কয়েক বছর ধরেই আমাদের দেশের চলচ্চিত্র খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন শিল্পীরা যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসেন, তবেই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি সম্ভব। নিজেদেরই যদি ইন্ডাস্ট্রির প্রতি ভালোবাসা না থাকে, তাহলে সাধারণ দর্শক কেন চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহী হবেন? এই ভাবনা থেকেই প্রযোজনায় আসা। তা ছাড়া অভিনয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত আছি। তাই ক্যামেরার সামনে হোক বা পেছনে- যে কোনো মাধ্যমে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় নিজেকে যুক্ত রাখতে চাই।

অভিনয় জীবনের দুই দশক পার করলেন। পেছন ফিরে তাকালে কী দেখতে পান?

দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ার নিয়ে আমার কোনো অপ্রাপ্তি নেই। দর্শকের ভালোবাসার কারণেই এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আমার এখন যে জীবন, সে জীবনই সব সময় চেয়েছি। স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার ও তার ফাঁকে নিজের কাজ- এক জীবনে যা পেয়েছি, আমি সন্তুষ্ট।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.