শুধু খেয়েই কোটিপতি!

0
503
বেথানি গাসকিন।

মানুষ অর্থ আয় করে দুটো খেয়ে–পরে বাঁচার জন্য। তবে খেয়ে খেয়ে কোটিপতি হওয়া, এ–ও কি সম্ভব? এই অবাস্তবকে বাস্তবে এনে রাতারাতি তারকা বনে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী। বেথানি গাসকিন নামের ওই নারী ইউটিউবে খাওয়ার ভিডিও দেন। মজা করে খেতে থাকেন বিশাল বিশাল কাঁকড়া, চিংড়িসহ নানা সুস্বাদু খাবার। এতেই মাসে কোটি টাকা আয় হয় তাঁর।

ইন্টারনেটে এই খাওয়ার বিষয়টিকে ‘মুকব্যাং’ বলা হয়। একজন লোক ক্যামেরার সামনে বসেন, তাঁর সামনে রাখা থাকে প্রচুর খাবার। লোকটির কাজ একা সেই বিপুল পরিমাণ খাবার খেয়ে শেষ করা। এই দৃশ্য অনলাইনে দেখে লাখ লাখ মানুষ। এই সব মানুষ পায় বিনোদন, আর ওই খাদক এ থেকে করেন অর্থ উপার্জন। দক্ষিণ কোরিয়াতে এর প্রচলন শুরু হয়। মুকব্যাং নামটিও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসেছে। কোরিয়ান ভাষায় মুক মানে খাওয়া, আর ব্যাংক সং মানে সম্প্রচার। দুইয়ে মিলে তৈরি হয়েছে এই মুকব্যাং শব্দটি।

বেথানি গাসকিন ইউটিউবে পরিচিত ব্লভি নামে। স্বামী ও ছেলেদের নিয়ে খাওয়ার ভিডিওগুলো তৈরি করেন তিনি। এটা এখন তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা হয়ে গেছে। তবে ইউটিউবের সামনে বসে একাই খান ব্লভি। কখনো মসলা মাখিয়ে ঝলসানো বিশাল বিশাল কাঁকড়া গোগ্রাসে খান, আবার কখনো খাচ্ছেন একগাদা চাওমিন। আর তা দেখে ইউটিউবের কোটি কোটি দর্শক। তাঁর কাঁকড়া খাওয়ার একটি ভিডিও ১ কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ দেখেছে।

বেথানি গাসকিন।

ব্র্যান্ডিং চুক্তি ছাড়াই কেবল ভিডিও আপ করেই মাসে ১০ লাখের বেশি ডলার আয় করেন বেথানি। অন্য সবকিছু মিলিয়ে আয় আরও অনেক বেশি। তাঁর চ্যানেল ব্লভিসলাইভের প্রায় ২ কোটি সাবস্ক্রাইবার আছে।

এই সব ভিডিও অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়াকে উৎসাহিত করছে কি না, এমনটা জানতে চাইলে বেথানি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, এই সব ভিডিও মজার। আর মানুষ এগুলো থেকে উপকৃতই হয়।’ কীভাবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব ভিডিও মানুষের উদ্বেগ কিছু সময়ের জন্য কমায়। একাকিত্ব দূর করতেও এটা কাজে লাগছে।

বেথানি বলেন, ক্যানসারে আক্রান্ত এমন মানুষের কাছ থেকে অসংখ্য মেইল পেয়েছেন তিনি। খাওয়ার প্রতি তাঁদের আকর্ষণ আনতে পারছেন তাঁরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.