চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেডে পাঁচ বছরের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার আসামি আবীর আলীকে আরও ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ আবদুল হালিম এ আদেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী সেলিম উলল্গাহ চৌধুরী জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবীরকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড দেন। এর আগে ২৬ নভেম্বর আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিলেন।
এদিকে সোমবার আদালত চত্বরে আবীরের ওপর চড়াও হন শিশু আয়াতের স্বজন ও উপস্থিত জনতা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গত ১৫ নভেম্বর শিশু আয়াত নিখোঁজ হওয়ার পর ইপিজেড থানায় জিডি করে তার পরিবার। তার দাদা পিবিআই’র কাছে নাতনির সন্ধান চেয়ে আবেদন করেন। পরে পিবিআই তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবীরকে আটক করে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আবীর। সে জানিয়েছে, মুক্তিপণের আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণ করেছিল সে। পরে তাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করতে খণ্ডবিখণ্ড করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় আয়াতের বাবা সোহেল রানা বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় মামলা করেছেন।
আবীর নগরের ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার ভাড়াটিয়া আজহারুল ইসলামের ছেলে। তাদের বাড়ি রংপুর।
আয়াতের মরদেহ উদ্ধারে আবীরকে নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে পিবিআই। গত ২৫ নভেম্বর তকে নিয়ে পুলিশ নগরের আকমল আলী সড়কের স্লুইস গেট সংলগ্ন নালায় এবং পরবর্তীতে আউটার রিং রোড সংলগ্ন বে-টার্মিনাল এলাকার সমুদ্র পাড়ে যায়।
গত রোববারও অভিযানে যায় পিবিআই। সাগরের পানিতে ভেসে যাওয়ায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। তবে হত্যায় ব্যবহৃত বটি ও আয়াতের জুতা উদ্ধার করেছে পুলিশ।