সব বুথে পোলিং এজেন্ট নেই ৪ মেয়র প্রার্থীর

0
109
খুলনা সিটি নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ।

সকাল থেকেই চলছে খুলনা সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আগ্রহ নিয়েও ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। তবে খুলনার সব বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারেনি আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী ৪ মেয়র প্রার্থী।

খুলনা কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টায় গিয়ে দেখা যায়, ৯টি বুথের ৭টিতে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল আওয়াল ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুর নির্বাচনী এজেন্ট নেই। একটিতেও এজেন্ট নেই জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিকের। আর সবগুলো বুথে এজেন্ট রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের।

সকাল সাড়ে ৯টায় নগরের পিটিআই একাডেমিক ভবন (দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা) ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচটি বুথের সবগুলোতে আওয়ামী লীগের, ২টিতে জাতীয় পার্টির ও একটিতে ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী এজেন্ট আছে। অন্য দুই প্রার্থীর কোনো এজেন্ট নেই।

শুধু এই দুটি ভোট কেন্দ্রেই নয়, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী ৪ মেয়রপ্রার্থী পোলিং এজেন্ট দিতে পারেননি সব বুথে।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক জানান, ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩২টি ভোট কক্ষ বা বুথে তার পোলিং এজেন্ট রয়েছে।

ইভিএমে ভোট দিয়ে খুশি নবীন ভোটাররা

জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু জানান, তিনি ১ হাজার ৭৩২টি বুথের মধ্যে ১ হাজার ৫১০টি বুথে পোলিং এজেন্ট দিয়েছেন। টাকার অভাবে সব বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারেননি। ৫০০ টাকা দিয়েও পোলিং এজেন্ট পাননি। আবার কয়েকটি বুথ থেকে তার এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হাসান ওবায়দুল করীম জানান, তারা ৬০০টি বুথে পোলিং এজেন্ট দিয়েছেন।

জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন জানান, ১৬০টির বুথে তার পোলিং এজেন্ট আছে, বাকিগুলোতে নেই। অন্য কেন্দ্র অথবা বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে কোনো বাধা ছিল না।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক জানান, তিনি ২৫০টির মতো বুথে পোলিং এজেন্ট দিয়েছেন। যেহেতু ইভিএমে ভোট হচ্ছে, ফলে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারের আঙুলের ছাপ নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে। সে কারণে প্রত্যেকটি বুথে পোলিং এজেন্ট না দিলেও চলে।

৭ বারের চেষ্টায় ভোট দিলেন রিজিয়া বেগম

এ ব্যাপারে খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, পোলিং এজেন্টের সংখ্যা দেখেই প্রার্থীদের সামর্থ্য ও ভোটের ফলাফল কোন দিকে যাচ্ছে তা ধারণা করা যায়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) খুলনার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত ই খুদা বলেন, ৪ প্রার্থীর রাজনৈতিক যে সামর্থ্য তাতে বোঝা যায় সব বুথে তাদের পক্ষে পোলিং এজেন্ট দেওয়া সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, সব প্রার্থীরই সমান সংখ্যক পোলিং এজেন্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এটা প্রার্থীদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.