সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। শিরোপা রক্ষার লড়াইয়ে ফাইনালে ভারতকে মোকাবিলা করে স্বাগতিকরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১-১ গোলে ড্র হলে টাইব্রেকারের সিদ্ধান্ত হয়। টাইব্রেকারে ১১-১১ গোলে সমতা হওয়ায় টসভাগ্যে নির্ধারিত হয় শিরোপা। টসভাগ্যে শিরোপা বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ, চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। তিন বছর আগে ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব–১৯ নারী সাফের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।
এর আগে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে খেলার শুরু থেকেই আক্রমণ করতে থাকে ভারত। ম্যাচের ৮ মিনিটেই সেই আক্রমণের ফল পায় সফরকারী দল। অধিনায়ক নিতু লিন্ডার পাস ধরে দ্রুত গতিতে বাংলাদেশের বক্সে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন শিবানি দেবি। এক গোলে পিছিয়ে গিয়েও আক্রমণ ধারালো করতে পারছিল না বাংলাদেশ।
একটা সময় মনে হচ্ছিল ১-০ গোলেই হারতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে সাগরিকার গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ সরাসরি গড়ায় টাইব্রেকারে। দুদলই প্রথম পাচ শটে গোল করে। পরের পাচ শটেও গোল হলে (১০-১০) দুই গোল কিপার শট নিতে যান। সেখানেও গোল করে দুজন। এতে ১১–১১ গোলে সমতা ছিল টাইব্রেকারেও। শেষ পর্যন্ত টসে নির্ধারিত হয় শিরোপা। ভাগ্য পরীক্ষায় ভারত জিতে শিরোপা পুনরুদ্ধার করে।
ম্যাচ রেফারির এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ। কারণ টুর্নামেন্টের বাইলজে টস ছিল না। বাংলাদেশের প্রতিবাদে ম্যাচ অফিসিয়াল ভুল স্বীকার করে নেন এবং নিয়ম অনুযায়ী টাইব্রেকার চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। এর প্রতিবাদে প্রতিবাদে ভারত মাঠ ছেড়ে চলে যায়। তবে বাংলাদেশ দল মাঠে অবস্থান করছে।
বাফুফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাচ অফিসিয়াল ৩০ মিনিট ভারতের মাঠে ফেরার অপেক্ষায় থাকবেন। তারা খেলতে না চাইলে তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।