ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, ফুল দেওয়া শেষে ফেরার পথে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। হামলায় পাঁচ নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ছাত্রদল।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ বলেছে, তারা ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে ব্যস্ত ছিল। হামলার বিষয়ে তাদের জানা নেই।
আজ শনিবার বেলা একটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল–সংলগ্ন হাইকোর্ট মোড়ে ছাত্রদলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা হয়।
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা শেষে কার্জন হলের হাইকোর্ট মোড়সংলগ্ন ফটকে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আমরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাই। শুভেচ্ছা জানানো শেষে আমরা হাইকোর্টের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন পেছন থেকে মোটরসাইকেলে করে সেখানে আসেন ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। তাঁদের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালান। অনীক নামের আমাদের এক নেতাকে ছাত্রলীগ ধরে নিয়ে গেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান বলেন, ‘ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নানা কর্মসূচি ছিল। আমরা এসব কার্যক্রম নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। আমরা শুনেছি, ছাত্রদলের দুই পক্ষ নাকি আলাদা আলাদা ফুল দিচ্ছিল। আমরা কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। কোনো হামলার বিষয়ে আমাদের জানা নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ছাত্রদলের ওপর অতর্কিত সশস্ত্র হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে আহত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত।
আরিফুল ইসলাম আরও বলেন, হামলায় আহতেরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম ওরফে জিসান, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার নেতা আবদুল্লাহ আল সাব্বির ও মুজিব হলের (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল) সাংগঠনিক সম্পাদক অনীক। আহত অন্য দুজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহম্মেদ ও স্যার এ এফ রহমান হলের জারিফ। তাঁরা বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে তিনি জানান।