শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিহতদের নাম প্রকাশ অধিকারের

0
61
শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূতভাবে নিহত ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অধিকারের পেজে ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ওই বছরের ৫ ও ৬ মে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ৬১ জন নিহত হন।

ফেসবুক পোস্টে সংস্থাটি জানায়, ২০১৩ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত নির্বিচারে ওই হত্যাযজ্ঞের একটি তথ্যানুসন্ধান মিশন পরিচালনা করে অধিকার। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার অধিকারের তৎকালীন সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান এবং সংগঠনের বর্তমান পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০০৯) এর ৫৭ ধারায় মামলা করে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্টের একজন বিচারকের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে ৫ ও ৬ মে ২০১৩ সালে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে অধিকার।

এতে আরও বলা হয়, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৩ সাল থেকে অধিকার এবং এর নেতাদের ওপর নিপীড়ন, নজরদারি, কর্তৃপক্ষের দ্বারা হয়রানি এবং সরকারপন্থী মিডিয়া দ্বারা নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে দমনপীড়ন শুরু করে। এক দশকেরও বেশি সময় বিচারিক হয়রানির পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াৎ রায় ঘোষণা করেন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের একটি সত্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আইসিটি আইনের অধীনে আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩১ দিন বন্দী থাকার পর সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. এমদাদুল হক আজাদ উভয়ের জামিন মঞ্জুর করলে একই বছরের ১৫ অক্টোবর তারা কারাগার থেকে মুক্তি পান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.