সাকিব-মুশফিককে হারানোর ধাক্কা সামলিয়ে বাংলাদেশকে টেনে তুলছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও শান্ত। ৬৭ বলে শান্ত দেখা পান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। তার ফিফটির ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি চারে। দুজনের পথচলায় হয়েছে জুটির পঞ্চাশও। তবে ফিফটি ছুঁয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্তও। ব্যক্তিগত ৫৮ রান করে রশিদের গুগলির শিকার হয়েছেন শান্ত। এরপর মাহমুদউল্লাহ বেশিদূর যেতে পারেননি। তার ইনিংস থেমে যায় ৩১ রানেই। উডের বলে বাটলারের ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি।
৩৭.৩ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। আফিফ ৬ ও মিরাজ ব্যাট করছেন ১ রানে।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-লিটনে ইতিবাচক শুরু ছিল বাংলাদেশের। যদিও প্রথম ওভারেই তামিমকে হারাতে পারত বাংলাদেশ। ক্রিস ওকসের বলে তাকেই ক্যাচ দেয় তামিম। নিচু হয়ে বলটি মুঠোয় জমানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি ওকস। তখন ২ রানে খেলছিলেন তামিম।
তামিম একপ্রান্তে রানের চাকা ঘুরালেও নিস্তেজ ছিল লিটনের ব্যাট। ছক্কা মেরে ভালো শুরুর আভাস দিলেও পরের বলেই ওকসের ফাঁদে পড়ে এলবির শিকার হন লিটন (৭)। রিভিউ নিয়েও টিকতে পারেননি। দলীয় ৩৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শান্তও ফিরতে পারতেন দ্রুত। জোফ্রা আর্চারের বলে জেসন রয় ক্যাচ লুফে নিতে না পারায় বেঁচে যান শান্ত। দলীয় ৫১ রানে মার্ক উডের গতির কাছে পরাস্ত হন তামিম ইকবাল। এই গতির জবাব ছিল না তামিমের কাছে। হুট করে লাফিয়ে ওঠা বল সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন তামিম, ব্যাট-হাতে লাগার পর হলেন বোল্ড। তামিম ফেরেন ৩২ বলে ২৩ রান করে।
তামিমের বিদায়ের পর শান্তকে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসকে টানছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। প্রিয় শট ‘স্লগ সুইপ’ খেলে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই শট খেলেই মুশফিক রান করেছেন প্রচুর, আবার উইকেটও হারিয়েছেন অনেক। যেটা নিয়ে সমালোচনার তীরেও বিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের মিস্টার ডিপেন্ডেবল। তবুও প্রিয় শট খেলতে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নন মুশফিক। আদিল রশিদের সেই স্লগ সুইপেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে উডের তালুবন্দী হন মুশফিক। ৩৪ বল খেলে ১৭ রান করেন তিনি।
মুশফিক আউট হওয়ার পর দ্রুতই ফেরেন সাকিব। ১১ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় ভরসার দুই ব্যাটারকে। দলীয় ১০৬ রানের মাথায় মঈন আলীর বল খেলতে গিয়ে বোল্ড হন সাকিব। ১২ বলে ১ চারে ৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।