রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে চলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের ছররা গুলিতে দুই বছরের শিশুসহ বাবা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়াও পুলিশের ছোড়া গুলিতে আরও চারজন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ছররা গুলিতে আহত মো. বাবলু ও তার দুই বছরের সন্তান রহিত মিয়াকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিশুর মা বলেন, পুলিশের রাবার বুলেট ও হট্টগোলে শিশুটি বাসায় কান্না করছিল। কান্না থামাতে শিশুটির বাবা সন্তানকে নিয়ে বাইরে আসেন। এ সময় পুলিশের ছররা গুলি বাড়িটির কলাপসিবল গেইটের ভেতরে ঢুকে যায়। এতে বাবা-ছেলে দুজনেই আহত হন।
এদিকে, ঢামেকে পুলিশের রাবার বুলেটে আহত আরও একজনকে নিয়ে আসা হয়। তার নাম ফয়সাল বলে জানান গেছে। তার গায়ে রাবার বুলেটের অসংখ্য আঘাত রয়েছে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে নিয়ে আসা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে অষ্টম শ্রেণির স্কুলশিক্ষার্থী পিয়াস এবং কাপড় মনিরুল রয়েছেন। অন্যরা পথচারী বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে এডিসি আলাউদ্দীন বলেন, সংঘাত সৃষ্টির পর শনির আখড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ গেলে ‘হামলাকারী’দের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে সংঘাত চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সংঘাতে পুলিশ ও হামলাকারী ছাড়াও কয়েকজন পথচারী আহত হয়েছেন বলে শুনেছেন তিনি।