নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্ম দ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণের শ্রমিকদের ১০৩ কোটি টাকা দিতে লেবার আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নিম্ন লেবার অ্যাপিল ট্রাইব্যুনালের রায়কে অবৈধ বলেও ঘোষণা দেন আদালত।
বিচারপতি জাফর আহমেদের নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রুল খারিজ করে এ আদেশ দেন। ১০৬ শ্রমিক চাইলে শ্রম আদালতে গিয়ে মামলা করতে পারবেন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে ৩ এপ্রিল রায় দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ মে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন হাইকোর্ট।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১০৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। এ সময়ে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হয়।
শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে।
এ লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে তাঁরা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু এরপরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তাঁরা মামলা করেন।