২৮ চিকিৎসকের পদে আছেন ৪ জন

0
109

চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকটে বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তার ওপর মূল ভবনের নির্মাণকাজ চলায় রয়েছে শয্যা সংকটও। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম।

মেডিসিন, সার্জারি, অর্থোপেডিক, কার্ডিওলজি, চক্ষুসহ বিশেষজ্ঞ ১০ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে পদগুলোয় জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি ১০ বছর ধরে অকেজো। নেই হাসপাতালের নিজস্ব বৈদ্যুতিক (জেনারেটর) ব্যবস্থা। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারও বন্ধ।

 

জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৮ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে রয়েছেন মাত্র চারজন চিকিৎসক। এখানে গাইনি ও প্রসূতি, শিশু, চর্ম ও যৌনসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ১০টি পদ খালি রয়েছে। সাতজন মেডিকেল অফিসারের পদের বিপরীতে চারটি পদই ফাঁকা। ডেন্টাল চিকিৎসক, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও প্যাথলজি বিশেষজ্ঞের পদও শূন্য।

সরেজমিন দেখা যায়, নতুনভাবে নির্মাণের জন্য পুরাতন মূল ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সে জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। পাশের অন্য একটি দোতলা ভবনে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। ৫০ শয্যার বিপরীতে এই ভবনে রয়েছে ৩০ শয্যা। নিচতলায় বহির্বিভাগ, অফিসকক্ষ ও জরুরি বিভাগ। স্টোররুমে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় দ্বিতীয় তলার খোলা স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অসংখ্য চিকিৎসাসামগ্রী ও যন্ত্রপাতি রাখা হয়েছে।

মোকামিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা আতাউর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তাঁর ভাইকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কিন্তু হাসপাতালের মেশিন নষ্ট থাকায় বাইরে থেকে এক্স-রে করতে হয়েছে। এতে বাড়তি টাকা গুনতে হয়।

পৌর শহরের বাসিন্দা আব্দুর রব বলেন, একটু সমস্যা হলেই মানুষকে দৌড়াতে হয় জেলা শহর কিংবা বিভাগীয় শহর বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে। এতে রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক লিখন বলেন, প্রতি সপ্তাহে ৬০ থেকে ৬৫ ঘণ্টা চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত থাকি। এতে খুব কষ্ট হয়। দুই-একজন চিকিৎসক দিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ মানুষের সঠিক সেবা দেওয়া যায় না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাহামিদা লস্কর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসক-কর্মচারীর সংকট চলছে। সর্বশেষ গত ১৩ আগস্ট চিঠি লিখে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। সিভিল সার্জন ফজলুর হক বলেন, ‘চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায়য়ের চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.