লালমোহন পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

0
181
লালমোহন পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল হক তুহিন

ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ভোলার লালমোহন পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল হক তুহিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে পৌর মিলনায়তন নির্মাণের ৪৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯১২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার বরিশাল দুদকের সমম্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন– পৌর মেয়রের শ্যালক কামাল হোসেন রিয়াজ, পৌরসভার সাবেক নির্বাহী পরিচালক ধ্রুব লাল দত্ত ও উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) নিজাম উদ্দিন।

ধ্রুব লাল দত্ত বর্তমানে পিরোজপুর পৌরসভায় কর্মরত আছেন। মেয়র এমদাদুল হক তুহিন ভোলা জেলা ও লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের চাচাতো ভাই।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে লালমোহন পৌর মিলনায়তন নির্মাণে তিনজন ঠিকাদার দরপত্র জমা দেন। তাদের মধ্যে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজটি পায় মেয়রের শ্যালকের প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিয়াজ স্টোর্স।

চুক্তি অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৫ মে কাজ শুরু করে একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার কামাল হোসেন ৮০ ভাগ কাজ শেষ করে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ৮৭ লাখ ১১ হাজার ১৪০ টাকার বিল তোলেন।

এদিকে বাকি কাজ শেষ না হলেও পরে মেয়র ঠিকাদারকে চূড়ান্ত বিল দিতে নির্বাহী প্রকৌশলীকে সুপারিশ করেন। এরপর ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৯ টাকা তুলে নেন কামাল।

এ নিয়ে অভিযোগের পর গত ১৫ মার্চ গণপূর্ত বিভাগের চার সদস্যের দল নির্মাণকাজের পরিমাপ গ্রহণ করে জানায়, ঠিকাদার ১ কোটি ৩০ লাখ ৯৫ হাজার টাকার কাজ করেছেন। বাকি ৪৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯১২ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.