রোয়াংছড়ি থানার ওসি আবদুল মান্নান বলেন, রামথারপাড়ার কার্বারি থংচুল বমকে কে বা কারা গুলি করেছেন, সেটা এখনো জানা যায়নি। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুর ১২টার দিকে রামথারপাড়া এলাকায় গুলির শব্দ শোনা যায়। পরে পুলিশ ওই পাড়ায় একজনের লাশ পড়ে থাকার কথা জানতে পারে। বিকেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে গেলে পাড়ার বৃদ্ধ কার্বারি থংচুল বমের লাশ পাওয়া যায়। কিন্তু লাশ উদ্ধারের সময় পাড়ার কোনো বাসিন্দাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। গোলাগুলির ঘটনার পর তাঁরা ঘরবাড়ি ছেড়ে আশপাশের জঙ্গলে পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
রামথারপাড়ার আশপাশের কয়েকজন জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম বলেন, রামথারপাড়ার বমদের ঘরবাড়ির দরজা খোলা। রান্নার চুলায় ভাত-তরকারি সবকিছু আছে। কিন্তু কোনো মানুষজন নেই। কয়েক সপ্তাহ ধরে রামথারপাড়া, দুর্নিবারপাড়াসহ আশপাশের বম পাড়াগুলোতে পুরুষদের দেখা যাচ্ছিল না। হঠাৎ গোলাগুলি ও কার্বারির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।
বম জনগোষ্ঠীর নেতারা বলছেন, কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) গত বছর থেকে তৎপরতা শুরু করলে বমরা উভয় সংকটে পড়েন। তাঁরা কেএনএফ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী—কোনো পক্ষকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। একইভাবে কেএনএফ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাঁদের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারছে না। ফলে পাড়ার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা জঙ্গলে আশ্রয় নিয়ে দিন যাপন করছেন।