রেকর্ডময় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২২১ রানে হেরে ধবলধোলাই ইংল্যান্ড

0
199
জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড, রেকর্ড ব্যবধানে হেরেছে ইংল্যান্ড, এএফপি

টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন আগের ম্যাচে বিশ্রামে থাকা বাটলার। এমসিজির উইকেটে শুরুতে যে ব্যাটিং সহজ ছিল, তা নয়। তবে সেখানেই ইংলিশ বোলার ও বাটলারদের হতাশ করে গেলেন হেড ও ওয়ার্নার। প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই দুজন মিলে তোলেন ৬৪ রান। দুজনকে দ্রুত থামাতে পারেনি ইংল্যান্ড। হেড ফিফটি পূর্ণ করেন ৫৫ বলে, ওয়ার্নারের লাগে ৫৩ বল।হেড সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাত্র ৯১ বলে, ২৭তম ওভারে ক্রিস ওকসকে কাট করে চার মেরে। ওয়ার্নারকে অবশ্য অপেক্ষা করতে হয় ৩৭তম ওভার পর্যন্ত, ওলি স্টোনকে মিড অফ ও এক্সট্রা কাভারের মধ্য দিয়ে চার মেরে সেটি পান তিনি। তাঁর লাগে ৯৭ বল। আজকের আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ওয়াংখেড়েতে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন ওয়ার্নার, মানে তিন অঙ্কের জন্য এ বাঁহাতি ওপেনারকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১০৪৩ দিন।

১০৪৩ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি পেলেন ডেভিড ওয়ার্নার

১০৪৩ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি পেলেন ডেভিড ওয়ার্নার, এএফপি

ওয়ার্নারের সেঞ্চুরির আগেই হেডের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটিতে ওঠে ২৫০ রান। ওয়ানডে ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় জুটি হিসেবে একাধিক ২৫০ রানের জুটি হলো এখন হেড ও ওয়ার্নারের, এর আগে এ কীর্তি ছিল শুধু ভারতের শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলীর।

ওয়ার্নার অবশেষে থামেন ৩৯তম ওভারে, স্টোনকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ডেভিড উইলির হাতে ধরা পড়ে। হেডের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ওঠে ২৬৯ রান। এমসিজিতে ওয়ানডেতে যে কোনো উইকেটেই এটি সর্বোচ্চ জুটি, যে কোনো উইকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আজ ওয়ার্নার-হেডের জুটি ছুঁয়ে ফেলেছে ১ হাজার রানও, নিউজিল্যান্ডের রজার টুজ ও ন্যাথান অ্যাস্টলের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুততম সময়ে (১৩ ইনিংস)।

৩ ম্যাচ সিরিজে ধবলধোলাই হলো ইংল্যান্ড

৩ ম্যাচ সিরিজে ধবলধোলাই হলো ইংল্যান্ড, এএফপি

ওয়ার্নার ফিরলেও হেড ডাবল সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন, মনে হচ্ছিল এমন। তবে ৩ বল পর স্টোনের বলেই বোল্ড হন তিনিও। স্টিভেন স্মিথের ১৬ বলে ২১, মিচেল মার্শের ১৬ বলে ৩০ রানের সঙ্গে অ্যালেক্স ক্যারির ৬ বলে ১২ রানের অপরাজিত ক্যামিওতে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৩৫৫ রান। এর আগেই বৃষ্টি নামার পর খেলা নেমে আসে ৪৮ ওভারে। তবে মেলবোর্নে ওয়ানডেতে এটিই এখন সর্বোচ্চ স্কোর, ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও অস্ট্রেলিয়ার ছেলেদের সর্বোচ্চ। ৪ উইকেট নেন ওলি স্টোন, তবে খরচ করেন ৮৫ রান। ইনিংসে ৪ বা এর বেশি উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে এটি যৌথভাবে দ্বিতীয় খরচে স্পেল।

রান তাড়ায় ইংল্যান্ড গতি পায়নি কখনোই। কনকাশনের কারণে আগেই ছিটকে যান ফিল সল্ট, জেসন রয়ের সঙ্গে ওপেনিংয়ে আসেন ডেভিড ম্যালান। তবে দুজনের জুটি টেকেনি ৩ ওভারও। জেমস ভিন্স ও রয় দ্বিতীয় উইকেটে ৪২ রান তুলেছিলেন, তবে এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সব বোলারই পেয়েছেন উইকেটের দেখা।

শুরুতে প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউডের পর অ্যাডাম জাম্পার তোপে পড়ে ইংল্যান্ড। ২২তম ওভারে প্রথমবারের মতো আসেন এ লেগস্পিনার, তাঁর পরের ওভারেই পরপর ২ বলে ফেরান বাটলার ও ক্রিস ওকসকে। নিজের পরের ওভারে এসে নেন সল্টের বদলি হিসেবে নামা মঈন আলীর উইকেটও। মাঝে শন অ্যাবট ও মিচেল মার্শের বলে স্যাম কারেন ও লিয়াম ডসন ফেরার পর জাম্পা এসে নেন স্টোনের উইকেট। ইংল্যান্ড থামে ৩১.৪ ওভার ব্যাটিং করেই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.