কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মো. রুবেল (২২) নামে এক ঘোড়ারগাড়ি চালকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। সোমবার রাতে চালকের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন আরো পাঁচজন।
পুলিশের ভাষ্য, পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। মামলায় ঘটনার দিন আটক স্ত্রী মারজিয়া খাতুন ও শাশুড়ি মর্জিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, প্রায় দেড় বছর আগে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে মেজবার শেখের মেয়ে মার্জিয়ার সঙ্গে রুবেলের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। গত রোববার তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে একটি মৃত মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। সন্ধ্যায় রুবেলের স্ত্রীর মেজো ভাই মিঠু শেখ তাকে ফোনে তার স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সোমবার সকালে রুবেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সঠিক বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, চালকের বাবা বাদী হয়ে রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে আটক স্ত্রী ও শাশুড়ির নাম থাকায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পারিবারিক কলহের জেরে আসামিরা চালককে পিটিয়ে হত্যা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন।