রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর মুম্বাইকে হারাল লক্ষ্ণৌ

0
165
মুম্বাইয়ের উইকেট পতনে লক্ষ্ণৌর উদ্‌যাপনছবি: এএফপি

‘হাসুন আপনি লক্ষ্ণৌতে আছেন’— লক্ষ্ণৌতে আসলে অতিথিদের নাকি এভাবেই স্বাগত জানানো হয়। তবে আজ ঘরের মাঠে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে শেষ পর্যন্ত সেই হাসিটা অবশ্য হাসতে দিল না লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। নিজেদের মাঠে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর অতিথি মুম্বাইকে ৫ রানে হারিয়েছে লক্ষ্ণৌ।

এদিন শেষ ২ ওভারে ৩০ রানের সমীকরণ প্রায় মিলিয়েই ফেলেছিল মুম্বাই। ১৯তম ওভারে ১৯ রান নিয়ে মূলত ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন টিম ডেভিড। কিন্তু শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ১১ রান আর তুলতে পারেনি মুম্বাই। হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।

আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও মার্কোস স্টয়নিসের ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান করে স্বাগতিক লক্ষ্ণৌ। জবাবে মুম্বাই অবশ্য বেশ ভালোভাবেই শেষ হাসিটা হাসার পথে ছিল। ১১ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১০৩ রান করে একসময় জয়ও দেখছিল রোহিত শর্মার দল। কিন্তু এরপরই পথ হারিয়ে ফেলে অতিথিরা। এরপর চেষ্টা করেও আর পথে ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তাই আর পাওয়া হয়নি জয়ের দেখা।

লক্ষ্য তাড়ায় মুম্বাইকে দারুণ শুরু এনে দেন ঈশান কিষান ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই দলকে ৫৮ রান এনে দেন এ দুজন। দশম ওভারে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত। ২৫ বলে ৩৭ রান করে রবি বিষ্ণুইয়ের দীপক হুডাকে ক্যাচ দেন মুম্বাই অধিনায়ক। অধিনায়ক ফিরলেও পরের ওভারে চার মেরে নিজের ফিফটি পূরণ করেন ঈশান কিষান। সেই ওভারেই এক শ পেরিয়ে যায় মুম্বাইয়ের সংগ্রহ।

ফিফটি করে অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ঈশান। বিষ্ণুইয়ের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ঈশান ফেরেন ৩৯ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রান করে। অল্প সময়ের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে মুম্বাই। সে সময় ২ ওভারে আসে মাত্র ৪ রান। ১৩ ওভার শেষে অতিথিদের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১০৭ রান। ৪২ বলে তখন মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ছিল ৭১ রান। এরপর দারুণ ছন্দে থাকা সূর্য কুমার যাদবকে (৭) বোল্ড করে ম্যাচ জমিয়ে তোলার ইঙ্গিত দেন যশ ঠাকুর। এরপর মহসিন খানের বলে নেহাল ওয়াদহেরাও (১৬) ফিরে গেলে চাপ আরও বাড়ে মুম্বাইয়ের। ১৭ বলে ২৯ রান করে সেই চাপ থেকে দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন টিম ডেভিড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারেননি। মুম্বাই ম্যাচ হারে শেষ ওভারে।

এদিন লক্ষ্ণৌর ব্যাটিংয়ে সকালের সূর্য দিনের পূর্বাভাস দেয়নি। তৃতীয় ওভারে পরপর দুই বলে দীপক হুডা এবং প্রেরাক মাকান্দকে ফিরিয়ে দেন জেসন বেহেরনড্রফ। ১২ রানে ২ উইকেট হারানো লক্ষ্ণৌর চাপ আরও বাড়ান কুইন্টন ডি কক। ৭ম ওভারে দলীয় ৩৫ রানে ডি কক (১৬) ফেরেন পিয়ুস চাওলার বলে উইকেটের পেছনে ঈশানকে ক্যাচ দিয়ে। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া এবং মার্কোস স্টয়নিস। বিশেষ করে স্টয়নিস ছিলেন দারুণ আগ্রাসী।

পান্ডিয়া রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরার আগ পর্যন্ত ৫৯ বলে ৮২ রান জড়ো করেন এ দুজন। ৪২ বলে ৪৯ রান করেন পান্ডিয়া। এরপর প্রান্ত আগলে নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে শেষ পর্যন্ত ১৭৭ রানে পৌঁছে দেন স্টয়নিস। ৪৭ বলে ৪ চার ও ৮ ছক্কায় ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন স্টয়নিস।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.