রিজার্ভ ছাড়াল ২০ বিলিয়ন ডলার

0
9
প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠানোর কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠানোর কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ এখন দুই হাজার কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
 
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা।
 
একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৪৯৯ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ গত ১১ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে আমদানি পণ্যের বিল বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করে। এর ফলে আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। দেড় মাসে বৈদেশিক মুদ্রার এই সঞ্চয় বাড়তে বাড়তে আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছড়িয়েছে।
 
গত ১৯ ডিসেম্বর দেশে মোট রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। চলতি মাসের ২১ দিনে ২ বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত বছরের ডিসেম্বরের পুরো মাসের চেয়ে বেশি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার।
 
বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিনই রেমিট্যান্সসহ বিভিন্ন উৎস থেকে ডলার যোগ হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ক্রমেই বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
 
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে। প্রথমটি হলো- বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। দ্বিতীয়টি হলো- আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি। এতে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ রাখা হয়।
 
তৃতীয়টি হলো- ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ। যা বর্তমানে ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা নিচে। দেশে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ বর্তমানে প্রায় চার মাসের আমদানি মূল্য মেটানোর অবস্থায় আছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.