রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির প্রশ্নে অবান্তর বিতর্ক সৃষ্টি করা অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ বুধবার সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে সংবিধান, প্রাসঙ্গিক আইন ও বিধিমালা পর্যালোচনা করা হয়েছে। সেখানে মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হতে কোনো বাধা নেই। তাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে অবান্তর বিতর্ক সৃষ্টি করা হবে অনাকাঙ্ক্ষিত।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বিচারপতি সাহাবুদ্দীন নির্বাচিত হয়েছিলেন, কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্ত হননি। তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের ৯ ধারায় বলা হয়েছে, একজন কমিশনার তার মেয়াদ শেষে প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য নিয়োগ পাবেন না। নিয়োগ পাওয়া এবং নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তিনি (সাহাবুদ্দিন) নিয়োগ পাননি, নির্বাচিত হয়েছেন।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘দুদকের আইন সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম। প্রার্থীর কোনো সাংবিধানিক বা আইনগত অযোগ্যতা রয়েছে কি-না তা ভালো করে যাচাই বাছাই করা হয়। সেখানে কোনো আইনগত অযোগ্যতা ছিল না। এছাড়া হাইকোর্ট বিভাগের একটি রায়ে বলে হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ঠিক, তেমনি একজন অবসরপ্রাপ্ত দুদক কমিশনার রাষ্ট্রপতি পদে কোনোভাবেই অবৈধ নয়।’
রাষ্ট্রপতি পরোক্ষভাবে পুরো দেশবাসীর পক্ষে নির্বাচিত হয়েছেন জানিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রত্যক্ষভাবে জাতীয় সংসদের সদস্যদের মাধ্যমে তিনি (মো. সাহাবুদ্দিন) রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন।’