রাশিয়া থেকে প্রতি মাসেই জ্বালানি তেল কেনা বাড়াচ্ছে ভারত। এতে রাশিয়ান তেল কেনায় নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে দেশটি। গত জুন মাসেও রাশিয়া থেকে তেল কেনায় রেকর্ড গড়েছে ভারত।
কেপলারের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিশ্লেষণ প্রধান ভিক্টর কাটোনার জানান, জুন মাসে রাশিয়া থেকে দিনে ২২ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ভারত। বিশ্লেষণী সংস্থার তথ্য বলছে, সৌদি আরব ও ইরাক থেকে মোট যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয়েছে তার থেকে বেশি আমদানি হয়েছে শুধু রাশিয়া থেকেই। খবর- টাইমস অব ইন্ডিয়া
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করলে পশ্চিমারা রাশিয়ার তেলে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে বিশ্ববাজারে বাড়তে শুরু করে তেলের দাম। দীর্ঘ সাত বছর পর তা ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে তা ব্যারেলপ্রতি ১৩৯ ডলারে উঠে যায়; যদিও অল্প সময়ের জন্য। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের সব তেল আমদানিকারী দেশের আমদানি মূল্য বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় ডলারের বিনিময় হার। সৃষ্টি হয় ডলার-সংকট। কমে যায় রিজার্ভ, যে সমস্যা এখন অনেক দেশকেই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা না শুনে ভারত রাশিয়ার তেল কেনা বৃদ্ধি করে। এতে তারা বড় ধরনের সংকট এড়াতে পেরেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাদের রিজার্ভ কমলেও শঙ্কিত হওয়ার মতো নয়, যদিও প্রতিবেশী দেশগুলোর রিজার্ভ প্রতিনিয়তই কমছে। মূল্যস্ফীতিও মাথাচাড়া দিতে পারেনি।
ইউক্রেন আক্রমণের পর ভারত রাশিয়ান তেলের একটি প্রধান ক্রেতা দেশ। কেপলার বলছে, সরবরাহ কমার কারণে আগামী মাসে রাশিয়া থেকে ভারতের আমদানি হ্রাস পেতে পারে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন গত দুই মাসে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। এরপরেই রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
রাশিয়া আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে কম দামে ভারতকে তেল দিচ্ছে। সস্তায় তেল কিনে ভারত বিদেশি মুদ্রা বাঁচাচ্ছে। সে জন্য তারা পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা করছে না। রাশিয়ার কাছ থেকে তেলা কেনা বৃদ্ধি করায় ওপেকের কাছ থেকে ভারতের তেলা কেনা কমেছে।