সম্প্রতি ঢাকাস্থ রাশিয়ার দূতাবাস থেকে দেওয়া এক বিবৃতির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাশিয়ার দূতাবাস থেকে যে বিবৃতিটা দেওয়া হয়েছে সেখানে কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। কিছু দেশ যখন কোনো সরকারকে চাপে রাখার চেষ্টা করে তখন তারা সংশ্লিষ্ট দেশে মানবাধিকারের ধোঁয়া তোলে। অথচ দেখা যায় যারা মানবাধিকারের কথা বলে, সে সমস্ত দেশে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়। একইসঙ্গে কোনো দেশের রাজনৈতিক বিষয়গুলো যা একেবারেই অভ্যন্তরীণ, সে সব বিষয়েও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা- সেটিও বিবৃতিতে উঠে এসেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, যারা ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে নানা ধরনের কথাবার্তা বলছিলেন, এই বিবৃতি তাদের বোধোদয় হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। বিদেশি কূটনীতিকদের ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলা উচিত।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তর সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ২০ দলীয় জোটের গাড়ি মোটেও এগোয়নি। এখন ২০ দল ভেঙ্গে ১২ দল করলে আরও এগুবে না, পিছিয়ে যাবে। এই ১২ দলীয় জোটের সম্মিলিত শক্তি আমাদের একটা থানায় কিংবা ঢাকা শহরের একটা ওয়ার্ডের শক্তির চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে কম।
আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় সম্মেলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দলে জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই এবং আওয়ামী লীগের প্রত্যেক কর্মী সমর্থক চায় জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে আছেন, ততদিন দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন। শুধু তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যাক সেটিই নয়, আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করার ক্ষেত্রেও জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প আজকে বাংলাদেশে নেই।
এর আগে অর্জন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত এবং এইচ এম মেহেদী হাসান গ্রন্থিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ শেখ হাসিনা’ এবং ‘বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণ’ দু’টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। এ সময় প্রধান তথ্য অফিসার শাহেনুর মিয়াসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।