জন কিরবির তথ্যমতে, ইউক্রেনে ওয়াগনার গ্রুপের যতসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে, তার মধ্যে আনুমানিক ৮০ শতাংশ কারাগার থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া। তিনি বলেন, এই গ্রুপ রাশিয়ার নিয়মিত সেনাবাহিনীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের উত্তেজনা বাড়ছে। ব্যবসায়ী প্রিগোঝিন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
জন কিরবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা ছবিতে দেখা গেছে রাশিয়ার রেল কার উত্তর কোরিয়ায় ঢুকছে। ধারণা করা হয়, সেখান থেকে তারা রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ করছে, যেগুলো পরবর্তী সময়ে ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যরা ব্যবহার করছেন।মার্কিন এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ওয়াগনার গ্রুপকে যারা সাহায্য–সহযোগিতা করছে, তাদের খুঁজে বের করা, পরিচয় প্রকাশ, লক্ষ্যবস্তু বানানো এবং এই সহযোগিতার পথ বন্ধ করে আমরা অব্যাহতভাবে কাজ চালিয়ে যাব।’ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস, উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র নেওয়াটা হবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজল্যুশনের লঙ্ঘন।
জন কিরবি বলেন, ‘আমাদের ধারণা, ওয়াগনার গ্রুপ উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র পেতে থাকবে। আমরা অবশ্যই উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে ওয়াগনারকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে আমরা দেশটির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ওয়াগনারের বিরুদ্ধেই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমরা এ বিষয়ে আরও পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি।’
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে ওয়াগনারের মালিক প্রিগোঝিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেননি তিনি।