ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচশটিরও বেশি নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। এছাড়া আলাদাভাবে একশরও বেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞাগুলি নাভালনির কারাবাস এবং রাশিয়ার যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে। প্রায় ১০০টি সংস্থা বা ব্যক্তির উপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এছাড়া জ্বালানি বিক্রি করে যেন রাশিয়া বেশি অর্থ লাভ করতে না পারে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর ব্যাপারে বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, বিদেশে আগ্রাসন এবং দেশে নির্যাতনের জন্য আরোপিত এসব নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত করবে—পুতিনকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
বাইডেন বলেছেন, নাভালনিকে কারাদণ্ড দেওয়ার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তারা নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন। এছাড়া রাশিয়ার অর্থনৈতিক খাত, প্রতিরক্ষা শিল্প, কেনাকাটার নেটওয়ার্ক এবং নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গকারীরাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।
বাইডেন বিবৃতিতে বলেছেন, দুই বছর আগে তিনি ইউক্রেনকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। পুতিন যদি তার মৃত্যু ও ধ্বংসের মূল্য পরিশোধ না করেন তবে তিনি চালিয়ে যাবেন।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ইইউ প্রায় দুইশ কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে যারা রাশিয়াকে অস্ত্র সংগ্রহে সহায়তা করেছে বা ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত , যা মস্কো অস্বীকার করে।
তাদের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীসহ উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রশস্ত্র রাশিয়ায় পাঠানোর সঙ্গে জড়িত ১০টি রাশিয়ান কোম্পানি এবং ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইইউ এখন দুই হাজার জনেরও বেশি ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করেছে।
প্রতিক্রিয়ায়, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদদের রাশিয়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করার তালিকা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত করেছে।