ফল প্রকাশের দাবিতে ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বিভাগের কার্যালয়ের সামনে মশারি টাঙিয়ে ভেতরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত তারা একই কর্মসূচি পালন করেন।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৩ নভেম্বর বিভাগের প্রথম বর্ষের (বর্তমান দ্বিতীয়) লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১০ ডিসেম্বর। ১১ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে দ্বিতীয় বর্ষের (বর্তমানে তৃতীয়) লিখিত পরীক্ষা। ৮ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৭ ডিসেম্বর শেষ হয় তৃতীয় বর্ষের এবং ১৪ নভেম্বর শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি শেষ হয় চতুর্থ বর্ষের (বর্তমান মাস্টার্স) লিখিত পরীক্ষা। ১৭ জুলাই প্রথম বর্ষের (বর্তমান দ্বিতীয় বর্ষ) ফল প্রকাশ করা হলেও এখনও অন্যান্য বর্ষের ফল প্রকাশিত হয়নি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩ অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে বিভাগগুলোর ফল প্রকাশের কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কোর্সের খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি। এতে বোঝা যায় কতিপয় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রতি উদাসীন। আমরা শিক্ষকদের কথায় ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা হতাশ হয়েছি। সেজন্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো সময় দিতে চাই না। কর্মসূচিতে বিভাগের প্রথম বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিভাগে একাডেমিক কমিটির জরুরি সভা শুরু হয়।
বিভাগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা সম্পূর্ণ নম্বরপত্র পাইনি। কিছু খাতার নম্বর এখনও বাকি আছে। তাই শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছে।
জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর জানান, বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষকরা জানিয়েছেন ফলাফল তৈরির জন্য তারা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
এর আগে বুধবার সকাল দশটায় শিক্ষার্থীরা বিভাগের অফিসের সামনে অবস্থান নেন। পরে বিভাগের শিক্ষকরা এবং প্রক্টর শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেও তাদেরকে আন্দোলন থেকে সরাতে পারেননি। দুপুরে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার সাথে দেখা করেন। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য যেসব খাতা অমূল্যায়িত আছে সেগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল্যায়ন করে নম্বরপত্র জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে নির্দেশ দেন। কিন্তু শিক্ষকরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নম্বরপত্র জমা দিতে পারেননি।