রাজবাড়ীতে ‘চাঁদা না পেয়ে’ দুজনকে গুলি ও কুপিয়ে জখম

0
134
কুপিয়ে জখম।

লিখিত অভিযোগে অশোক রায় বলেন, তিনি সমাধিনগর বাজারে সার, ডিজেল ও কীটনাশকের ব্যবসা করেন। তাঁর বাড়ি পুষআমলা গ্রামে। সেখান থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একই গ্রামে নতুন বাড়ি করছেন। গতকাল দুপুরে তিনি দাঁড়িয়ে বাড়ির কাজ দেখভাল করছিলেন। তখন মোটরসাইকেল নিয়ে ছয়জন লোক তাঁর নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে আসেন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে তিনি আগে থেকেই চেনেন। তাঁরা হলেন বালিয়াকান্দির আখশুকনা গ্রামের মাধব ঘোষ ও মধুখালী উপজেলার জাননগর গ্রামের সুফল বিশ্বাস। অন্য চারজন তাঁর অপরিচিত। তাঁরা মোটরসাইকেল থেকে নেমে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে (অশোককে) মারধর করা হয়। কিছুক্ষণ পর তাঁরা আবার আসবেন, তখন টাকা প্রস্তুত রাখার কথা বলে চলে যান। বিষয়টি তিনি সমাধিনগর বাজারে গিয়ে সবাইকে জানান। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মাধব ঘোষসহ ছয়জন আবারও এসে চাঁদা দাবি করেন। এতে অশোক রায়, তাঁর সঙ্গে থাকা রাজ কুমার সরকার ও সুরান সরকারের সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা লাগে। একপর্যায়ে তাঁরা রাজ কুমারের পায়ে গুলি করেন। মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান। সুরানও এ সময় পেটে গুলিবিদ্ধ হন। বাজারের আরও লোকজন এগিয়ে এলে ফাঁকা গুলি ছুড়ে হামলাকারীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।

ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অশোক রায় বলেন, ঘটনার পরপরই আহত দুজনকে উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সুরানকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জঙ্গল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্মল সরকার বলেন, মাধব মানুষ হিসেবে সুবিধার নন। তেমন কোনো কাজকর্মও করেন না। সারা দিন এখানে–সেখানে ঘুরে বেড়ান। তাঁকে সব সময় এড়িয়ে চলেন তিনি।

বালিয়াকান্দি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রাণ বন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.