রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে প্রতি বছর ১৯মার্চ উপগুপ্ত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আজও একই নিয়মে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে মার বিজয়ী উপগুপ্ত ভান্তের ১৪তম পূজা অনুষ্ঠিত হল।
২০০৯সালে সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তে রাজবন বিহারে অবস্থানকালে গুরুতর অসুস্থ হন। সে সময় শ্রদ্ধাবতি উপসিকা সমীরা দেওয়ান(রুচিরামা) বনভান্তের সুস্থতার জন্য অধিস্থান করেন এবং উপগুপ্তভান্তেকে ভাং বা আমন্ত্রণ পূর্বক পূজার আয়োজন করেন। যে দিন এই পূজা অনুষ্ঠান করা হয় বনভান্তে সেদিনই সুস্থ হন। এরপর থেকে প্রতি বছর ১৯মার্চ তারিখে উপগুপ্ত ভান্তের পূজা অনুষ্ঠান ধারাবাহিকভাবে উদযাপন করা হচ্ছে।
মারের উপদ্রব ও সকল আপদ বিপদ ভয় অন্তরায় হতে রক্ষার জন্য উপাসক উপাসিকাদের পক্ষে প্রতি বছর সমীরা দেওয়ানের উদ্যোগে এই পূজা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং বুদ্ধের নিকট, উপগুপ্ত ভান্তের নিকট সকল দুর্যোগ হতে রক্ষা ও সুখে শান্তিতে বসবাসের জন্য সকল দেব মনুষ্যগণের হিতসুখ মঙ্গল প্র্রার্থনা করেন উপস্থিত পূণ্যার্থীগণ।
জ্ঞান প্রিয় মহাস্থবির ও সুমন মহাস্থবির স্বধর্ম দেশনা প্রদান করেন। স্বাগত বক্তব্য ও বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক সমীরা দেওয়ান(রুচিরামা)। স্মৃতিরেখা দেওয়ান(ত্রিপলীমা) তার বক্তব্যে অনুষ্ঠানে রাজবন বিহারে রাজমাতা আরতি রায় ও সমীরা দেওয়ানসহ অনেকের অবদান তুলে ধরেন এবং এই দুইজন নারীর অগ্রণী ভূমিকাকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
সকালে পঞ্চশীল গ্রহন, বুদ্ধমুর্তিদান, সংঘদান, অষ্টপরিস্কারদান, প্যাগোডার উদ্দেশ্যে টাকাদান, দান উৎসর্গ করা হয় এবং বিকাল ৪:৩০টা পানিতে ৮৪ হাজার বাতি প্রজ্জল করেন পূণ্যার্থী।