রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, দেশের আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। চিনি, তেল ও খেজুরের শুল্ক বেশি ছিল। সেই শুল্ক যাতে আমরা যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারি, সে বিষয়ে এনবিআরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে একটা ঘোষণা আসবে। আমাদের দেশের জন্য বড় একটা সুসংবাদ আছে। সার্বিকভাবে বলা যায় রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আজ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের তার নিজ বাসভবনে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দেলুদয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, শুভেচ্ছা জানাতে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন। তাকে বাংলাদেশে ভারত পেঁয়াজ ও চিনি রপ্তানি বন্ধ করার বিষয় কথা বলেছি। তিনি বলেন, ভারত থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হবে। এছাড়াও ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশ থেকে তেল, চিনি আসছে। তাই এবার রমজানে দেশে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমদানিকারক, লোকাল উৎপাদক, কৃষি বিভাগ, খাদ্য বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিভাগসহ সবার সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। তারা বলেছেন, রমজান উপলক্ষে যথেষ্ট পরিমাণ পণ্য আমাদের কাছে মজুদ আছে। এছাড়াও আগামী তিন মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ আছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, কেউ মজুদ করে কৃত্রিমভাবে যাতে দাম বৃদ্ধি না করতে পারে, সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে বাজার নজরদারি শুরু হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। উদ্যোক্তা থেকে ভোক্তা পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়াও এক কোটি মানুষকে টিসিবির কার্ড দিয়ে রমজানে পাঁচটি পণ্য দেওয়া হবে। টিবিসির ডিলাররা যাতে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে পারেন, সে লক্ষ্যে স্থায়ী দোকান করা হবে।