রক্তাক্ত হাত নিয়েই বিদায় নিচ্ছেন বাইডেন

0
9
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাতে সুবর্ণ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি তা কাজে লাগাতে পারেননি। এ কারণে ইতিহাসে বাইডেন প্রশাসন কুখ্যাত হয়ে থাকবে। বাইডেন ফিলিস্তিনিদের জীবন বাঁচানোর প্রশ্নে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যথাযত পদক্ষেপ থেকে বিরত ছিলেন। ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ সত্ত্বেও তিনি নেতানিয়াহুকে অস্ত্র-গোলাবারুদ সরবরাহ করে গেছেন।

গতকাল শনিবার দ্য গার্ডিয়ান অনলাইনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, গাজা প্রশ্নে জো বাইডেন প্রশাসন কৌশলী ভূমিকা নিয়েছিল। একদিকে গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে তারা ইসরায়েলকে চাপ দেন, অন্যদিকে সামরিক সহায়তা চালিয়ে যান। একপর্যায়ে ইসরায়েল লেবাননের সঙ্গেও যুদ্ধে জড়ায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪৩ হাজার ৭৯৯ জনের প্রাণ গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২১ লাখ মানুষ। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৩ হাজার ৬০১। এর দায় এড়াতে পারবেন না বাইডেন।
গাজা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ল্যানসেটের এক গবেষণায় দেখানো হয়, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচও (এইচআরডব্লিউ) ইসরায়েলে বাইডেনের অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে।

ব্রাউন ইউনিভার্সিটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ১৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র-সরঞ্জাম সহায়তা দিয়েছে। সংঘাতের কারণে ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যে নিজস্ব সামরিক কর্মকাণ্ডে ব্যয় করেছে আরও ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এর বাইরে ইসরায়েলকে সহায়তার জন্য তহবিলে জমা পড়ে আরও ২২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ৫৯ জন নিহত হয়েছেন। লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৪৫ জন নিহত ও ১৪ হাজার ৫৯৯ জন আহত হয়েছেন। উত্তর গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ অব্যাহত আছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.