যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন হাজারো শিক্ষার্থী। কিন্তু অনেকেই প্রথম ধাপেই হোঁচট খান—এফ–ওয়ান (F-1) স্টুডেন্ট ভিসা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার কারণে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার বেড়েছে। ভিসা না পাওয়ার অনেকের আমেরিকার স্বপ্ন পূরণ হয় না। ভারতের গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া খোঁজার চেষ্টা করে শিক্ষার্থীদের কিছু পরামর্শ দিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপিয়েছে।
এ–সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিসা না পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো মার্কিন ইমিগ্রেশন আইন ‘সেকশন ২১৪ (বি)’{Section 214(b)}। কোনো আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদন যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কনস্যুলার কর্মকর্তারা যদি মনে করেন, অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরবেন না। তাই আবেদনকারীর ‘নিজ দেশে ফিরে আসার দৃঢ় প্রমাণ’ না থাকলে ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।
Section 214(b) অনুসারে, ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত করা হয় তখনই, যখন প্রার্থী ভিসার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেননি বা নিজ দেশে ফিরে আসার ইচ্ছার যথেষ্ট প্রমাণ নেই বলে মনে করেন কনস্যুলার কর্মকর্তারা।

ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে সাক্ষাৎকারে আবেদনকারীদের যা দেখাতে হবে—
*পরিবারের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্কের কথা
* নিজ দেশে পড়াশোনা বা চাকরির সুযোগ
*আর্থিক স্থিতি বা জমি-সম্পদের খবরাখবর
*সামাজিক নানা কার্যক্রমে যুক্ত থাকার প্রমাণ।
এসব তথ্য কনস্যুলার কর্মকর্তাদের আস্থা বাড়িয়ে তোলে। অর্থাৎ আবেদনকারী প্রার্থীর নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা পরিষ্কার যেন হয় সাক্ষাৎকারে।
ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে আবার আবেদন করা সম্ভব। শিক্ষা ও ভিসা–বিশেষজ্ঞরা জানান, একবার প্রত্যাখ্যাত হওয়া মানেই শেষ নয়। নতুন তথ্য যোগ হলে বা পরিস্থিতি পরিবর্তিত হলে আবার আবেদন করা যায়। তবে আবার ফি দিতে হবে এবং সাক্ষাৎকারেও অংশ নিতে হবে। তবে ওপরের উল্লেখ করা ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর পদ্ধতিগুলো এ ক্ষেত্রে আমলে নিতে হবে।
নতুন আইনে আসতে পারে সম্ভাবনা
মার্কিন কংগ্রেসে ডিগনিটি অ্যাক্ট (DIGNITY Act) নামে নতুন প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। নতুন এই আইন পাস হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধা বাড়বে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি ভবিষ্যতে অভিবাসনের ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারবেন। এতে ভিসা প্রত্যাখ্যানের ঝুঁকি কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।