গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের দায় নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দোষ স্বীকার করবেন এমন চুক্তিতে মুক্তি পেয়েছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে তার কারাবাসের অবসান ঘটলো। নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার ফেরার অনুমতি পেয়েছেন তিনি। সোমবার কারাগার থেকে মক্তি পান জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। তিনি যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন। এক এক্স বার্তায় উইকিলিকস এ তথ্য জানিয়েছে। খবর- আল-জাজিরার
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের নথি অনুসারে, ৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর গোপন নথিপত্র ও কূটনৈতিক বার্তা ফাঁসের অভিযোগে একক অপরাধী হিসেবে দোষ স্বীকার করতে সম্মত হন।
ব্রিটিশ সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে উইকিলিকস বলেছে, ‘জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মুক্ত।’
স্থানীয় সময় বুধবার সকালে আমেরিকায় তার পৌঁছনোর কথা। এ সপ্তাহেই মার্কিন আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে তার। তথ্য বলছে, মার্কিন আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হবেন। তবে তার সাজা কমে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ব্রিটেনের কারাগারে ইতিমধ্যেই সেই ৫ বছর কাটিয়েছেন তিনি।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তিনি যুক্তরাজ্যে কারাবন্দী ছিলেন। সেখান থেকে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করার চেষ্টা করেছে মার্কিন সরকার।
২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর গোপন নথিপত্র ও কূটনৈতিক বার্তা ফাঁসের অভিযোগ ওঠে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে। উইকিলিকসের নথি প্রকাশের জন্য অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি অভিযোগ রয়েছে। মূলত উইকিলিকসকে বিপুল পরিমাণ মার্কিন গোপন নথি সরবরাহ করেছিলেন মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা বিশ্লেষক চেলসি ম্যানিং।