যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধর্মঘট চলছে। ১৯ শতাংশ বেতন বাড়ানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটা) এ ধর্মঘট শুরু করেন নার্সরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইংল্যান্ডের প্রায় এক-চতুর্থাংশ হাসপাতাল ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের সব স্বাস্থ্য বোর্ড এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে। এছাড়া ওয়েলসের নার্সরাও এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে। তবে স্কটল্যান্ডে এই ধর্মঘট হচ্ছে না।
ধর্মঘট চলাকালে জরুরি চিকিৎসাসেবা চলমান থাকবে। রুটিন চিকিৎসা ও পূর্বনির্ধারিত অস্ত্রোপচার বন্ধ থাকবে। ট্রেড ইউনিয়ন আইন মোতাবেক, ধর্মঘটের সময়ও জীবন রক্ষাকারী জরুরি সেবা অব্যাহত রাখতে হবে। কেমোথেরাপি ও কিডনি ডায়ালাইসিস, আইসিইউ, নবজাতক ইউনিট, শিশুদের দুর্ঘটনা ও জরুরি চিকিৎসাসেবা অবশ্যই চালু রাখতে হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম নার্সিং ইউনিয়ন ও পেশাদার সংস্থা রয়েল কলেজ অব নার্সিং (আরসিএন) জানিয়েছে, সরকার বেতন বাড়ানোর আলোচনা বন্ধ করেছে এবং আলোচনা এগিয়ে নিতে নার্সদের জন্য কোনো দুয়ার খোলা রাখা হয়নি।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য বলছে, সরকারের পক্ষে এখন ১৯ শতাংশ বেতন বাড়ানো সম্ভব নয়।
বেতন বৃদ্ধির দাবি তোলা নার্সের সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি। ইংল্যান্ডে ২১৯টি হাসপাতাল, মানসিক-স্বাস্থ্য ট্রাস্ট ও কমিউনিটি সার্ভিসের মধ্যে ৫১টিতে প্রথম দফার ধর্মঘট চলছে। আলোচনায় অগ্রগতি না হলে আগামী ২০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনে মতো ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হবে।