বুধবার বাংলাদেশ সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে ১২২ রানে হেরেছে। বিশ্বকাপের পরের কলম্বোর ওয়ানডে সিরিজেই হয়েছে ধবলধোলাই। মলিন মুখ নিয়ে তাই বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফেরার বিমান ধরতে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু বিমান বন্দরে গিয়ে ক্রিকেটারদের মুখ আমশি হয়ে যায়। বিমানে ধরা পড়ে যান্ত্রিক ত্রুটি। সেই বিমান আকাশে উড়লে হতে পারতো বড় বিপদ।
বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টার দিকে দেশে অবতরণ করার কথা ছিল তামিমদের। রাজধানীর হযরত শাহজালাল (র) বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা পাওয়ার কথা তাদের। অভ্যর্থনা বলতে প্রশ্নবান অপেক্ষা করছিল তামিমদের জন্য। শ্রীলংকায় সিরিজ হেরেছে। হারের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তারা। বিমানবন্দরে আবার দেশিও মিডিয়ার সামনে ব্যাখ্যা দিতে হতো তামিমদের। কিন্তু বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইট প্রায় তিন ঘণ্টার মতো দেরিতে ছাড়ে।
তামিম-মুশফিকদের শ্রীলংকা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ইউএল ১৮৯-এ যাত্রা শুরুর কথা ছিল। ভাগ্য ভালো যে, বিমান ছাড়ার আগেই যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ে। ত্রুটি ধরা না পড়ে বিমান যদি আকাশে উড়ত তবে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। বিমানের পাইলট এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮.১৫ মিনিটের দিকে দেশের বিমান ধরার কথা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। ওই বিমানে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ১৫ জনের বহর। দলের কোচিং স্টাফ খালেদ মাহমুদ সুজন-ওয়াসিম জাফররাও ছিলেন ওই বিমানে। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদেরও একই বিমানে ফেরার কথা ছিল। পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নতুন একটি ফ্লাইট দেয়া হয়। যেটি ছাড়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় সকাল ১০.১৫ মিনিটে। সেটিও প্রায় আধঘণ্টার মতো দেরিতে ছাড়ে বলে জানা যায়।
এর আগে বেশ কিছু বিমান দুর্ঘটনা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৬ সালে ব্রাজিলের শাপেকোয়েনস ফুটবল দলের বিমান দুর্ঘটনায় পুরো একটা দল শেষ হয়ে যায়। সম্প্রতি বিমান দূর্ঘটনায় প্রাণ গেছে আর্জেন্টিনা ফুটবলার সালার। গত মে মাসে রাশিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় অর্ধশত নিহত হয়েছেন। মে মাসেই মিয়ানমারের রানওয়ে থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশের একটি বিমান। গত বছর নেপালের কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের এক বিমান দুর্ঘটনার ট্র্যাজেডির কথা এখনও তাজা। এসব কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বেশ ক’জনের বিমান ভ্রমণে ‘এলার্জি’ আছে।