তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী উইলিয়াম লাই দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। লাইকে ‘ট্রাবলমেকার’ উল্লেখ করে তাইওয়ানের জনগণকে ভোট না দিতে সতর্ক করেছিল চীন।
কিন্তু চীনের এই সতর্কবার্তায় কান দেয়নি তাইপের মানুষ। গণতন্ত্রপন্থি উইলিয়াম লাইকে ভোট দিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় রাখল বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ডিপিপিকে। দলের প্রার্থী লাই চিং তে ৪০.২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম চীনবিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিত। উইলিয়াম লাইয়ের প্রধান বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী দল কুমিংতাংয়ের প্রার্থী হো ইই-ইহ নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, ৯৮ শতাংশ ভোট কেন্দ্রের ফলাফল গণনা শেষ হয়েছে। এতে লাই ৪০.২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর লাইয়ের প্রধান বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী দল কুমিংতাংয়ের প্রার্থী হু যু-ই ৩৩.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ফলে এ নির্বাচনে হেরে তিনি পরাজয় মেনে নিয়েছেন। একই সঙ্গে নতুন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে দলের সমর্থনকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
নির্বাচনের আগে থেকেই লাইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছিল চীন। এরপরও বড় এই জয় ইঙ্গিত দিচ্ছে- চীনের চাপকে পাত্তা দেননি তাইওয়ানের সাধারণ ভোটাররা। তারা চীন বিরোধী লাইকেই ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর ছিলেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) নতুন প্রেসিডেন্ট ছাড়াও তাইওয়ানের সাধারণ মানুষ এমপি নির্বাচনেও ভোট দিয়েছেন।
তাইওয়ানের নির্বাচন ঘিরে সরব ছিল চীন। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, নির্বাচনের দিনও তাদের ভূখণ্ডে বেলুন উড়িয়েছে বেইজিং। তাইওয়ান নিজেকে স্বায়ত্তশাসিত বললেও চীন দাবি করে, ভূখণ্ডটি তাদেরই অংশ। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে চীন বলেছিল, এটি ‘শান্তি অথবা যুদ্ধের’ নির্বাচন।