বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার চোখে মালদ্বীপের বিপক্ষে লড়াইটি ছিল ‘ম্যাচ অব দ্য ইয়ার।’ যে লড়াইয়ে জিতলে ফিফার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পরবর্তী রাউন্ডে উঠে আরও ছয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ। হারলেই নির্বাসন। অর্থাৎ ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাছাইপর্বে ফিফার কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ হারানো।
মঙ্গলবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা অলিখিত ওই ফাইনালে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে। ম্যাচ অব দ্য ইয়ার জিতে বাছাইপর্ব রাউন্ডে চলে গেছে। দলের এই জয়ের নায়ক রাকিব হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
প্রথম লেগে মালদ্বীপের মালেতে ১-১ গোলে সমতা করে ফেরে বাংলাদেশ দল। আশা আর শঙ্কার দোলাচলে দ্বিতীয় লেগে ঘরে মাঠে শুরুতেই লিড তুলে নেয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে গোলটি করে ১০ নাম্বার জার্সির ফুটবলার রাকিব হোসেন। তার ১০ মিনিটের গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
কিন্তু লিডের স্বস্তি নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করতে পারেনি হ্যাভিয়ের কাবরেরার দল। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে কিংস অ্যারেনাসহ বাংলাদেশ ভক্তদের স্তব্ধ করে সমতায় ফেরে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা দল মালদ্বীপ। কর্ণার কিক থেকে পাওয়া বলে হেড থেকে গোল করে দলটি।
জয় ভিন্ন কোন ফল নয় এই মন্ত্রে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে গোল করেন ফয়সাল। ওই গোল শোধ করতে মরিয়া হয়েও গোলের দেখা পায়নি সফরকারী মালদ্বীপ। বরং শেষ সময়ে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন দলটির এক ফুটবলার।
এই ম্যাচ বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবাননের গ্রুপে পড়েছে। তাদের বিপক্ষে দুই লেগে ছয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন রাকিব-ফয়সাল-জামালরা। সঙ্গে এএফসি এশিয়ান কাপে খেলার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হয়েছে।