টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর (ড্র ও হার) পর আজ জয়ে ফিরেছে ইন্টার মায়ামি। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) লিওনেল মেসির অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিকে নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মায়ামির জয় ৪–১ গোলের বড় ব্যবধানে। এ জয়ে মায়ামির হয়ে জোড়া গোল করেছেন তাদেও আয়েন্দে ও জর্দি আলবা। তিনটি গোলে সহায়তা করেছেন মেসি।
তবে বড় জয়ের পরও মায়ামি ম্যাচ শেষে মাঠ ছেড়েছে হতাশা নিয়ে। একই দিন অন্য ম্যাচে নিউইয়র্ক সিটিকে ১–০ গোলে হারিয়েছে ফিলাডেলফিয়া। এ জয়ে মায়ামিকে পেছনে ফেলে সাপোর্টার্স শিল্ড জিতে নিয়েছে তারা।
আগের ম্যাচে শিকাগো ফায়ারের বিপক্ষে হারের পরই মায়ামির শিরোপা হাতছাড়া হওয়াটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। শিল্ড জেতার জন্য নিজেদের শেষ দুই ম্যাচের একটি জিতলেই চলত ফিলাডেলফিয়ার। আজ সেই জয়ই নিশ্চিত করেছে তারা। এ জয়ের পর শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়ার পয়েন্ট ৩৩ ম্যাচে ৬৬। ৩ নম্বরে থাকা মায়ামির পয়েন্ট ৩২ ম্যাচে ৫৯।
এখন শেষ দুই ম্যাচে জিতলেও ফিলাডেলফিয়াকে ছুঁতে পারবে না হাভিয়ের মাচেরানোর দল। অন্যদিকে ৩৩ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে ২ নম্বরে আছে সিনসিনাটি। তাদের পক্ষেও ফিলাডেলফিয়াকে ছোঁয়ার সুযোগ নেই। এটি ফিলাডেলফিয়ার দ্বিতীয় শিল্ড জয়। এর আগে ২০২০ সালে শিল্ড জিতেছিল তারা।

মেজর লিগ সকারে সাপোর্টার্স শিল্ড দেওয়া হয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দলকে। গত বছর এই পুরস্কার জিতেছিল মায়ামি।
আজ ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় মায়ামি। ৩২ মিনিটে যার ফলও পায় তারা। বক্সের বাইরে থেকে মেসির দারুণ এক পাস ধরে গোল করেন আয়েন্দে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দৃশ্যপটে আসে মেসি–আলবা জুটি। বক্সের ভেতর মেসির পাস থেকে গোল করেন আলবা। বিরতির পর ৫৯ মিনিটে নিউ ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যবধান ২–১ করেন ডোর টুরগেমেন।

তবে এক মিনিট পর আবারও মেসি–ঝলক। এবার প্রায় মাঝমাঠ থেকে দারুণভাবে বল বাড়ান মেসি। সেটি ধরে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের ফাঁদ এড়িয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন আয়েন্দে। এরপর ৬৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন আলবা। এদিন ম্যাচ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে মৌসুম শেষে ফুটবল থেকে অবসর নিতে যাওয়া সের্হিও বুসকেতসকে।
মায়ামির পরের ম্যাচ ১২ অক্টোবর আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে। আর ১৯ অক্টোবর তারা মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলবে নাশভিলের বিপক্ষে।

















