ভারতে প্রলয়ঙ্কারী বন্যা আর ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমালয় অঞ্চলের দুই রাজ্য। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ থেকে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এখনও নিখোঁজ ১৬। দুর্যোগে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
ক্লাউডবার্স্টের কারণে গত সোমবার রাত থেকেই রাজ্যগুলোয় হচ্ছে ভারি বর্ষণ। মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও বন্যায় নাজেহাল দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলও।
প্রবল পানির তোড়ে ডুবে গেছে কিছু মন্দির; তলিয়েছে দেবমূর্তিও। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত উত্তরাখাণ্ডের দেরাদুনের দৃশ্য এখন এমনই।
বিপর্যস্ত হিমালয় অঞ্চলের দুই রাজ্য উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে ভুক্তভোগী কয়েক লাখ মানুষ। বানের জলে ভেসে গেছে বহু ঘরবাড়ি-হোটেল ও যানবাহন। তলিয়েছে শহর ও গ্রামাঞ্চল। নিখোঁজ অনেকে। আটকা কয়েক হাজার পর্যটক ও তীর্থযাত্রী।
স্থানীয় একজন বলেন, রাস্তাঘাট ভেসে গেছে। যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে। গ্রামগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। আরেকজন বলেন, আমার দোকান ভেসে গেছে। এই বাজারে সাতটি দোকান ছিল। একটিও আর অবশিষ্ট নেই।
সবশেষ ১২ ঘণ্টায় সিমলায় ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর রাস্তাঘাটের হদিস না মেলায় ব্যাহত উদ্ধারকাজ। জরুরি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।শ
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, এসডিআরএফ, এনডিআরএফসহ অন্যান্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাজ করছে। বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পুরো প্রশাসন ত্রাণ সরবরাহে নিয়োজিত। দুর্যোগকবলিতদের সব সহায়তা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে, মৌসুমি বৃষ্টিপাতে নাজেহাল উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভারতও। বন্যায় তলিয়েছে মণিপুরের ইমফাল ও গোলাঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকা। ৭২ ঘণ্টা পেরোলেও দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলোয় কমছে না পানি।