মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় বসতঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক নারী ও এক পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার বৌলতলি ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এই দুজন হলেন জাঙ্গালিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম খানের মেয়ে নাসরিন আক্তার (২৩) ও দক্ষিণ চাড়িগাঁও এলাকার ইউনুস শিকদারের ছেলে মো. ইমরান শেখ (২৫)।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাসরিন আক্তার ও তাঁর স্বামী শুভ শিকদার তাঁদের চার বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে কয়েক দিন আগে বাবার বাড়ি জাঙ্গালিয়ায় বেড়াতে আসেন। আজ সকাল সাতটার দিকে শুভ ব্যবসার কাজে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। এর কিছুক্ষণ পর শুভর ফুফাতো ভাই ইমরান তাঁদের বাড়িতে আসেন। নাসরিনের মেয়ে খেলার জন্য ঘর থেকে বাইরে আসে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘরটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তাঁরা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পৌঁছানোর আগেই পুরো ঘর আগুনে পুড়ে যায়। পরে ঘরের ভেতরে নাসরিন ও ইমরান শেখের পুড়ে যাওয়া লাশ দেখতে পান তাঁরা।
নাসরিনের আক্তারের বাবা নূর ইসলাম খান বলেন, মেয়ে ও তাঁর দেবর ইমরান বাসায় ছিল। হঠাৎ সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘরে আগুন লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই তাঁরা আগুনে পুড়ে মারা যান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘ছোট ওই ঘরে প্রচুর মালামাল ছিল। এ কারণে মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে শুধু এই ঘরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশপাশের ঘরগুলোর কিছু হয়নি। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ্-আল-তায়েবির বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আমরা খবর পাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বসতঘর থেকে বেলা সোয়া ১১টার দিকে দুজনের অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করি। তবে কী কারণে আগুনের ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো নিশ্চিত নই। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।’