মিয়ানমারে ভূমিকম্পে প্রাণহানি ২ হাজার ছাড়িয়েছে

0
35
মিয়ানমারে ভূমিকম্প

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ছাড়ালো দুই হাজার। আহতের সংখ্যা চার হাজারের কাছাকাছি। তবে এখনও নিখোঁজ কমপক্ষে ২৭০ জন। কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানি-ক্ষয়ক্ষতির তথ্য হালনাগাদ করে সোমবার (১ এপ্রিল) এমনটা জানিয়েছে জান্তা সরকার। খবর রয়টার্স’র।

দুর্ঘটনার তিনদিন পার হয়ে গেলেও ধারণা করা হচ্ছে- অনেকেই চাপা পড়ে আছেন ধ্বংসস্তূপের নিচে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা- ইউএসজিএসের শঙ্কা, প্রাণহানি ছাড়াতে পারে ১০ হাজার। ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় এক সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে জান্তা সরকার।

মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজের জন্য সবজায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোতে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা বাধার কারণে ফ্রন্টলাইন এলাকাগুলোতে পৌঁছানো কঠিন।

এদিকে, আফটারশকে বিধ্বস্ত থাইল্যান্ডের ব্যাংককেও উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। সোমবার ব্যাংককে একটি আকাশচুম্বী ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে কয়েকজন জীবিতকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে বেঁচে আছেন বলে শনাক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে। ভূমিকম্পটির তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামেও।

ভূমিকম্পের ফলে মিয়ানমারের বহু ভবন, সেতু ও রাস্তাঘাট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবাও বিচ্ছিন্ন অনেক জায়গায়। ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মিয়ানমারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন করেছে সামরিক সরকার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.