সাময়িকভাবে হলেও জাতি স্বস্তিবোধ করেছে

0
87
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সবার সমন্বিত প্রয়াসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উঠিয়ে আনা হয়েছে। সাময়িকভাবে হলেও জাতি স্বস্তিবোধ করেছে। নির্বাচন কমিশনও স্বস্তিবোধ করেছে।

বৃহস্পতিবার ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে এই ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সময় ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যদি প্রতি পাঁচ বছর পর সংকট সৃষ্টি হয়, তাহলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। সে জন্য নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটি পদ্ধতি অন্বেষণ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুসম্পন্ন হয়েছে। জাতি একটি চলমান সংকট থেকে উঠে এসেছে, যেটা নিয়ে উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা ছিল।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, নির্বাচন তুলনামূলকভাবে ভালো হয়েছে। সংবাদপত্র পড়ে তিনি মূলত জেনে থাকেন। অনেকে সুনাম করেছে, অনেকে অপবাদ দিয়েছে। দুটোই বিবেচনায় নিতে হবে।

রাজনীতিবিদদের যদি নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা না থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা থাকে না এমন মন্তব্য করে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন খুব যে অংশগ্রহণমূলক হয়েছে তা নয়। নির্বাচন মোটাদাগে সার্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে গ্রহণযোগ্য না হলে একটা রাজনৈতিক সংকট থেকে যায়। একটা অংশ শুধু নির্বাচন বর্জন করেনি, প্রতিরোধ করারও ঘোষণা দেয়। সেদিন থেকে সংকট শুরু। নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। তবে সবার সমন্বিত প্রয়াসে নির্বাচন উঠিয়ে আনা হয়েছে। সাময়িকভাবে হলেও জাতি স্বস্তিবোধ করেছে। নির্বাচন কমিশনও স্বস্তিবোধ করেছে।

সিইসি বলেন, এখনও পত্রপত্রিকায় সমালোচনা হচ্ছে। তবে তারা সোশ্যাল মিডিয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কারণ, সেখানে অবারিতভাবে বদনাম করা হচ্ছে। মূল ধারার গণমাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ আলোচনা থাকে। নির্বাচন অনেকটা গ্রহণযোগ্যভাবে সুসম্পন্ন হয়েছে। সেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বীকৃত হয়েছে।

তিনি বলেন, দু–একটি সংস্থা বলেছে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অজুহাত দিয়ে ইসি সরকারের গোপন অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। তিনি জানেন না সরকারে সঙ্গে আসলে কোনো গোপন অ্যাজেন্ডা হয়েছে কিনা। তিনি নির্দ্বিধায় বলতে পারেন তার সঙ্গে হয়নি। অন্য কারও সঙ্গে হয়েছে কিনা সেটা তিনি জানেন না।

ইসি কীভাবে অজুহাত দিল প্রশ্ন রেখে সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়ে ওঠেনি, এ জন্য চাইলে কি ৩০ বছর নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যেত?’

সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা করায় নিজেদের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের কর্মকর্তাদেরও ধন্যবাদ জানান সিইসি।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.