৬ মাসে ৮৫ হাজার কোটি ডলার বেড়েছে ধনীদের সম্পদ, কার কত বাড়ল

0
140

বছরের প্রথম ছয় মাসে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সম্পদ বেড়েছে। ব্লুমবার্গের সূত্রে ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, বছরের প্রথমার্ধে বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনী ব্যক্তির সম্পদ বেড়েছে ৮৫২ বিলিয়ন ডলার বা ৮৫ হাজার ২০০ কোটি ডলার।

সংবাদে বলা হয়েছে, গত ৬ মাসে ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সভুক্ত ধনীদের সম্পদ দিনে ১৪ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার করে বেড়েছে। ২০২০ সালের শেষার্ধের পর চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ধনীদের সম্পদ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।

২০২০ সালের শেষের দিকে অবশ্য কোভিডের প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়।

মূলত যুক্তরাষ্ট্রে শেয়ারবাজারের উত্থানের কারণে চলতি বছরের প্রথমার্ধে ধনীদের সম্পদ বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদহার বৃদ্ধির মধ্যেই এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার সূচক বেশ ঊর্ধ্বগামী। মূলত সে কারণেই ধনীদের সম্পদমূল্য বেড়েছে।

গত ৩০ জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ১৬ শতাংশ এবং নাসডাক ১০০ সূচক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে মানুষের আগ্রহের কারণে এ–সম্পর্কিত স্টকের মূল্য বেড়েছে।

সম্প্রতি ইলন মাস্ক ও মার্ক জাকারবার্গ বদ্ধ খাঁচার মধ্যে লড়াই করার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে বেশ ঠাট্টা–তামাশাও হয়। বছরের প্রথমার্ধে এই দুই ধনীরই সম্পদমূল্য বেড়েছে। গত জুনের ৩০ তারিখ পর্যন্ত টেসলার মালিক ইলন মাস্কের সম্পদমূল্য বেড়েছে ৯৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার। অন্যদিকে মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের সম্পদমূল্য বেড়েছে ৫৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৮৯০ কোটি ডলার।

সব ধনীর সম্পদমূল্য অবশ্য বাড়েনি, বরং অনেকেরই কমেছে। সেই তালিকায় স্বাভাবিকভাবেই সবার ওপরে আছেন ভারতের আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি। বছরের প্রথম ৬ মাসে তাঁর সম্পদমূল্য কমেছে ৬০ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ২০ কোটি ডলার।

এক দিনে সম্পদমূল্য হ্রাসের দিক থেকেও সবার ওপরে আদানি। হিনডেনবার্গ রিসার্চের এক প্রতিবেদনে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে স্টক–জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর গত ২৭ জানুয়ারি এক দিনে গৌতম আদানির সম্পদমূল্য ২০ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৮০ কোটি ডলার কমে যায়। যদিও গৌতম আদানি বরাবরই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন।

হিনডেনবার্গ প্রতিবেদনের জেরে আরেক ধনীর সম্পদমূল্যও কমেছে। তিনি হলেন আইকান এন্টারপ্রাইজের কার্ল আইকান। হিনডেনবার্গের অভিযোগ, এই কোম্পানিও জালিয়াতির মাধ্যমে স্টকের অতিমূল্যায়ন করেছে। এই সময় অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে আইকানের সম্পদমূল্য ১৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩৪০ কোটি ডলার বা ৫৭ শতাংশ কমেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.