মার্কিন গণমাধ্যমে ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতে উদ্বিগ্ন শিক্ষাবিদেরা

0
146
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ। গতকাল যুক্তরাজ্যের লন্ডনে, ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন তাঁরা। ফিলিস্তিন, ইসরায়েল এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন। চলমান ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমের একতরফা প্রতিবেদন তাঁদের হতবাক ও ক্ষুব্ধ করেছে। তারা কেবল ইসরায়েলের বয়ান তুলে ধরছে। তাদের প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনের কথা নেই। এসব নিয়ে প্রায় ৩১৩ শিক্ষাবিদ পশ্চিমা গণমাধ্যমের উদ্দেশে একটি খোলাচিঠি লিখেছেন। তাঁদের বেশির ভাগই ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত। এই চিঠির অন্যতম স্বাক্ষরকারী ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক ইভলিন আলসুলতানি ১৭ অক্টোবর তাঁর এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) চিঠিটি শেয়ার করেছেন। পাঠকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এসব শিক্ষাবিদের সেই চিঠিটি তুলে ধরা হলো। অনুবাদ করেছেন নাসিফ আমিন

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল স্টাডিজ বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে আমরা যাঁরা কাজ করছি, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে আলোকিত করছি, বেশির ভাগ মার্কিন মুদ্রণ-সম্প্রচারমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত সংবাদের পরিবেশন দেখে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

‘যুদ্ধে ইসরায়েল’—এমন বড় শিরোনাম দিয়ে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সংবাদ প্রকাশ করেছে, যাতে গাজাকে দৃশ্যপট থেকে মুছে দিয়ে ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গিকে ঢালাওভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। তারা সংঘাত নিয়ে ইসরায়েলের বয়ান ধারাবাহিকভাবে প্রচার করে যাচ্ছে। তারা ইসরায়েলি নারীদের ধর্ষণ, শিশুদের হত্যার ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ধরছে। ইরাকে হামলার পটভূমি ফাঁদা ও ৯/১১-পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের পর আমরা এত বিচার-বিবেচনা ও দায়িত্বজ্ঞানহীন সাংবাদিকতা আর লক্ষ করিনি।

কাণ্ডজ্ঞান ও ন্যূনতম পেশাগত সততার কথা বাদই দিলাম; শুধু অভিজ্ঞতা থেকেই আমাদের বোঝা উচিত, এ–জাতীয় উত্তেজক ও অমানবিক সংবাদ প্রচার কতটা বিপজ্জনক।

আশা করি, আপনারাও আমাদের মতো বিশ্বাস করেন, সাংবাদিকতার সবচেয়ে পরিশীলিত রূপটি হচ্ছে—সব সময় যেকোনো ঘটনায় সন্দেহপ্রবণ থেকে যাচাই–বাছাই করে সঠিক খবর নিঃসংকোচে পরিবেশন করা, যেকোনো নেতিবাচক ঘটনার সমালোচনা করে যাওয়া; বিশেষ করে প্রভাবশালীদের ক্ষমতার অপব্যবহার ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে। এভাবেই সাংবাদিকতা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে তার প্রধান গণতান্ত্রিক ভূমিকা পালন করে থাকে এবং সঠিক জ্ঞান ও যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ভিত্তি করে বুদ্ধিদীপ্ত নীতি নির্ধারণে আমাদের সক্ষম করে তোলে।

আপনাদের এ বিষয়ে দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ পরিবেশনের জ্ঞান ও উপায়—দুটিই আছে। আপনারা অনেকেই ২০২২ সালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে ফিলিস্তিনি–আমেরিকান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহর হত্যার ঘটনা অনুসন্ধান করেছেন। আপনারা জানেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও অন্য সরকারি কর্মকর্তারা কতটা মিথ্যাশ্রয়ী হতে পারে।

আপনাদের সন্দেহ করার মতো সেই দৃষ্টিভঙ্গি আজ কোথায়, যখন এটাই আজ আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন? কেন আমরা সাংবাদিকতার জায়গা থেকে কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ দেখছি না? কেনইবা আমরা গাজায় যুদ্ধাপরাধকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের প্রচারিত বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবিকে প্রশ্নের মুখে ফেলছি না?

আমাদের কাছে এটা বেশ স্পষ্ট, ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকার গাজা উপত্যকায় গণহত্যাকে বৈধতা দিতে পশ্চিমা জনমত গঠনের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সেই ধারাবাহিকতায় তারা নির্বিচার হামলা চালিয়ে কমপক্ষে এক হাজার শিশুসহ প্রায় ৩ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে (১৬ অক্টোবর পর্যন্ত)।

ফিলিস্তিনিদের কোনো ‘উসকানি’ দেওয়া হয়নি, মর্মে পটভূমি তৈরি করা হয়েছে। আর এটাকেই যুক্তি হিসেবে তুলে ধরে সাধারণ জনগণের ওপর যুদ্ধাপরাধ চালানোর মতো অমানবিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এখানে সত্য হলো, শুধু ২০২০ সালেই ইসরায়েল ৪৭ শিশুসহ ২৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

৭ অক্টোবরের আগে আপনারা কেন দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো ইসরায়েলি সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে প্রতিবেদন কিংবা সমালোচনা করেননি। কেন দেখে মনে হচ্ছে যে গাজায় যন্ত্রণা-দুর্ভোগ নথিভুক্ত করার মতো অতি অল্পসংখ্যক কিংবা কোনো প্রতিবেদকই আপনাদের নেই। কেন ফিলিস্তিনিদের অভিজ্ঞতা বা বয়ান আপনার পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মতো কোনো সদিচ্ছা আপনাদের নেই।

এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি কাজ হচ্ছে, যুদ্ধের ডামাডোল আরও বাড়িয়ে না তুলে শিগগিরই এসব বন্ধ করা। কারণ, এভাবে চলতে থাকলে সব পক্ষের জন্য গণবিধ্বংসী যুদ্ধ ডেকে আনতে পারে। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আপনাদের ১১ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সহকর্মীকে ইসরায়েলিরা হত্যা করেছে। আসছে দিনগুলোয় আরও অনেক ফিলিস্তিনির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে।

আমাদের দাবি, আপনারা এখনই ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের বিচার-বিবেচনাহীন সংবাদ প্রতিবেদন বন্ধ করুন। শুধু এক দশক ধরে ফিলিস্তিনি গণহত্যায় আপনাদের মদদ দেওয়ার বিষয়ে অনুতপ্ত না হয়ে আপনারা এখনই নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন। আমরা বলব, আপনারা অবিলম্বেই নিচে উল্লেখ করা চারটি স্পষ্ট পদক্ষেপ নিন।

  • যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য কর্মকর্তাদের আপনারা যেমন সংশয়মূলক ও কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি করেন, তেমনি ইসরায়েলি কর্মকর্তাদেরও সংশয়মূলক ও কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি করুন। তাঁদের ভিত্তিহীন অভিযোগগুলো তোতাপাখির মতো আওড়াতে এবং মিথ্যা দোষী সাব্যস্ত করার মতো কাজে শামিল হতে অসম্মতি জানান।
  • জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনের গণশাস্তি ও বেআইনি হিসেবে নিন্দা করে আসা ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক দখলদারি এবং ১৬ বছর ধরে গাজায় শ্বাসরুদ্ধকর ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের পটভূমি আপনাদের প্রতিবেদনে বিচার-বিবেচনাসহ অন্তর্ভুক্ত করুন।

  • আপনাদের সব প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনিদের কথা তুলে ধরুন।
  • আপনারা যখন ফিলিস্তিনি অতিথিদের কথা বলতে দাওয়াত দেবেন, যাঁদের মধ্যে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে শোকাহত। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার বেশির ভাগ সময় ‘সন্ত্রাসবাদ ও হামাসের নিন্দার’ পূর্বশর্ত আরোপ করার প্রবণতা বন্ধ করুন।

অনেক ফিলিস্তিনিই দুটি বিষয়ের কোনোটাকেই অনুমোদন দেন না এবং ভিন্ন আঙ্গিক থেকে ব্যাখ্যা করেন। আপনাদের দর্শক বা পাঠকেরাও কখনোই ফিলিস্তিনি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সত্যিকার অর্থে উপকৃত হবেন না, যদিনা তাঁরা কখনোই কার্যকরভাবে সেগুলো শোনার সুযোগ পান।

আপনারা ও আপনাদের সংস্থাগুলো মাঝেমধ্যে যেসব অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণ দিয়ে থাকে, সেসব বিষয় আমরা উপেক্ষা করি না বা প্রশংসা করতে কুণ্ঠিত হই না। আমরা চাই আপনারা ধারাবাহিকভাবে আরও বস্তুনিষ্ঠ হোন। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে, মার্কিন দর্শক-শ্রোতা এবং ফিলিস্তিন বা ইসরায়েলের জনগণের স্বার্থে আমরা আপনাদের প্রতি সহযোগিতা ও সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি।

এই খোলাচিঠির স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন—

  • লীলা আবু-লুসদ, বুটেনওয়েজার সামাজিক বিজ্ঞানের অধ্যাপক, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
  • ওয়ালিদ আফিফি, যোগাযোগ অধ্যয়ন অধ্যাপক, ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি সান্তা বারবারা
  • নাজে আল-আলী, নৃবিজ্ঞান ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক স্টাডিজ, ব্রাউন ইউনিভার্সিটি
  • ইভলিন আলসুলতানি, অধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া
  • সাঈদ আশান, সহযোগী অধ্যাপক, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন, সোথমোর কলেজ
  • খলিল বারহুম, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
  • মোস্তফা বায়োমি, অধ্যাপক, সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক, ব্রুকলিন কলেজ
  • হাতেম বাজিয়ান, প্রভাষক, মধ্যপ্রাচ্যের ভাষা ও সংস্কৃতি, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে

  • জোয়েল বেইনিন, ডোনাল্ড জে ম্যাকলাচলান, ইতিহাসের অধ্যাপক এবং মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসের অধ্যাপক, ইমেরিটাস, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
  • নিনা বারম্যান, সাংবাদিকতার অধ্যাপক, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
  • আমাল বিশারা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান, টাফটস ইউনিভার্সিটি
  • জর্জ বিশারাত, দ্য অনারেবল রেমন্ড এল সুলিভান, আইনের অধ্যাপক, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ অব দ্য ল, সান ফ্রান্সিসকো
  • পলা চক্রবর্তী, জেমস ওয়েলডন জনসন, সহযোগী অধ্যাপক, মিডিয়া স্টাডিজ, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়
  • মর দাজানি, আইনের অধ্যাপক, ম্যাকজর্জ স্কুল অব ল
  • করম ডানা, অ্যালিসন ম্যাকগ্রেগর, অধ্যাপক, শ্রেষ্ঠত্ব ও রূপান্তরমূলক গবেষণা, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়
  • বোখেল বেশারা দোমানি, মাহমুদ দারবিশ ফিলিস্তিন অধ্যয়ন অধ্যাপক, ব্রাউন ইউনিভার্সিটি

  • ডানা এল কুর্দ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রিচমন্ড বিশ্ববিদ্যালয়
  • জুলিয়া ইলিয়াচার, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি
  • নাউরা এরাকাত, সহযোগী অধ্যাপক, আফ্রিকানা স্টাডিজ অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইন ক্রিমিনাল জাস্টিস, রাটগার্স ইউনিভার্সিটি, নিউ ব্রান্সউইক
  • রিচার্ড ফক, আন্তর্জাতিক আইনের অধ্যাপক, ইমেরিটাস, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি
  • লীলা ফারসাখ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক, ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়, বোস্টন
  • কিথ ফেল্ডম্যান, সহযোগী অধ্যাপক, বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়
  • গ্যারি ফিল্ডস, যোগাযোগের অধ্যাপক, ক্যালিফোর্নিয়া সান ডিয়েগো বিশ্ববিদ্যালয়
  • লিসা হাজ্জার, সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

l সান্তা বারবারা, রোজিনা হাসান, নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক, সাথিনাউ ভ্যালি স্টেট ইউনিভার্সিটি

  • মাহমুদ ইব্রাহিম, ইতিহাসের ইমেরিটাস অধ্যাপক, ক্যাল পলি, পোমোনা
  • রশিদ খালিদি, এডওয়ার্ড সাঈদ, আধুনিক আরব স্টাডিজের অধ্যাপক
  • ড্যারিল লি, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়
  • জাকারি লকম্যান, মধ্যপ্রাচ্য ও ইসলামি অধ্যয়ন এবং ইতিহাসের অধ্যাপক, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়
  • অ্যালেক্স লুবিন, আফ্রিকান–আমেরিকান স্টাডিজের অধ্যাপক, পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি
  • সুনাইনা মাইরা, অধ্যাপক, এশিয়ান আমেরিকান স্টাডিজ, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, ডাবিস

  • সারি মাকদিসি, ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস
  • উসামা মাকদিসি, চ্যান্সেলরের চেয়ার এবং ইতিহাসের অধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে
  • মেলানি ম্যাকঅ্যালিস্টার, আমেরিকান স্টাডিজ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক অধ্যাপক, জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়
  • মায়া মিকদাশি, সহযোগী অধ্যাপক, রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়
  • টিমোথি মিচেল, অধ্যাপক, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
  • নাদিন নাদের, অধ্যাপক, জেন্ডার ও মানববিদ্যা, ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় শিকাগো
  • মাহা নাসার, আধুনিক মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস ও ইসলামি স্টাডিজ, অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়
  • ডেভিড পালুম্বো-লিউ, লুই হিউলেট নিক্সন, অধ্যাপক, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

  • জেনিস পেক, অধ্যাপক এমেরিট, মিডিয়া স্টাডিজ, ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বাউল্ডার
  • রাশ রেহম, অধ্যাপক, নাট্য ও ধ্রুপদি সাহিত্য, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
  • ওয়াদি সাইদ, আইনের অধ্যাপক, কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল অব ল
  • শিরিন সিকালি, ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারা
  • আবদেল রাজ্জাক তকরিতি, আধুনিক আরব ইতিহাসের আরব-আমেরিকান এডুকেশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ার এবং এএইএফ সেন্টার ফর আরব স্টাডিজের অধ্যয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয়
  • হেলগা তাভিল-সৌরি, সহযোগী অধ্যাপক, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়
  • উইলিয়াম ইউম্যানস, সহযোগী অধ্যাপক, জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও প্রায় ২৬৩ শিক্ষাবিদ এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.