মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরটি কেন স্থগিত হয়েছে, সেই কারণ কোনো পক্ষ জানায়নি। বাংলাদেশের শ্রমমান উন্নয়ন ও অধিকারের বিষয়ে আলোচনা করতে ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা সফরে আসার কথা ছিল কারা ম্যাকডোনাল্ডের।
তিন দিনের সফরে ৯ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ম্যাকডোনাল্ডের বৈঠক করার কথা ছিল। একই দিন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আর ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের শ্রম খাতসংশ্লিষ্ট অধিকারকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক নির্ধারিত ছিল তাঁর।
বাংলাদেশে শ্রম খাতের স্বাধীনতা ও মান নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। দীর্ঘদিন ধরে শ্রম আইনের ব্যবহারের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে আসছে দেশটি। বিশেষ করে বাংলাদেশে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় বিদ্যমান শ্রম আইনের অনেক ধারা কার্যকর নয়।
পুরো দেশে সব শ্রমিকের জন্য যাতে একই আইন কার্যকর হয়, সে বিষয়ে জোর দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। পাশাপাশি বাংলাদেশের শ্রমমান, সংগঠন করার অধিকার, কাজের পরিবেশের মতো বিষয়গুলোয় আন্তর্জাতিক মান আনতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক চাপ রয়েছে বাংলাদেশের ওপর।