যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে গাজায় হামলার ক্ষেত্রে ইসরায়েল ‘সম্ভবত’ আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটি মনে করার মতো যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
শুক্রবার (১০ মে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়। গতকাল কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর এমন তথ্য সামনে এলো।
মার্কিন প্রশাসন বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা যাচাই করার মতো পূর্ণাঙ্গ তথ্য তাদের কাছে নেই। এ কারণে, আইন মেনেই মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করা হবে, ইসরায়েলের এই আশ্বাসকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ইসরায়েল কীভাবে গত বছরের শুরু থেকে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সরবরাহ করছে এমন আরও ছয়টি দেশে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে।
গাজায় কয়েকটি ইসরায়েলি অভিযানের সমালোচনা থাকলেও ওই প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি যে, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) অভিযান আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। বলা হয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে লড়তে আইডিএফ অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। তাই, তারা বাধ্য হয়ে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
মার্কিন অস্ত্রের আইনী ব্যবহার মেনে চলার বিষয়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে যে আশ্বাস পেয়েছে তা যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য ছিল উল্লেখ করে অস্ত্রের চালান আবার চালু করারও প্রস্তাব করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই সময়ে তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
এ হামলার প্রতিবাদে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। কিন্তু হামলায় দেশটি কোনো নিয়ম তোয়াক্কা করেনি। ফলে ৩৪ হাজারের বেশি নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।