নিরাপত্তা শঙ্কায় ছাত্রলীগের ডাকে ক্যাম্পাসে যাননি ফুলপরী

0
105
ভুক্তভোগী ফুলপরী।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগ নেত্রীর দ্বারা ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় বক্তব্য দিতে ভুক্তভোগী ফুলপরীকে রোববার ক্যাম্পাসে ডেকেছিল সংগঠনটির গঠিত তদন্ত কমিটি। কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় ছাত্রলীগের ডাকে ক্যাম্পাসে যাননি ফুলপরী। রোববার তিনি এ কথা জানান।

জানা যায়, প্রক্টর তাকে কুষ্টিয়া ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ফুলপরী তার বাড়ি থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত যাওয়া ও আসার নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। এ দিকে তিনি ক্যাম্পাসে না আসলেও ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি মুঠোফোনে তার বক্তব্য নেবে।

এ বিষয়ে ফুলপরী বলেন, ‘নিরাপত্তা নেই তাই আমি যাইনি। আমি প্রক্টর স্যারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমাকে বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া ও রেখে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। স্যার বলেছিলেন, আমি তোমাকে কুষ্টিয়া শহর ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দেব। যদি আসো আমাকে জানিয়ো। ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে আজকে আর কেউ যোগাযোগ করেনি।’

ফুলপরী জানান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ন্যায় বিচার দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের যোগাযোগের বিষয়ে ফুলপরী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম ভাই আমাকে কল দিয়ে বলেছেন, তোমার সহসীকতার জন্য অভিনন্দন। তোমার ন্যায় বিচার হবে। তখন আমি বলেছি, ভাই আমার কারো প্রতি কোন রাগ নেই। আমার সঙ্গে যা হয়েছে আমিও ন্যায় বিচার চাই। ভাই আমার সঙ্গে অনেক ভাল ভাবে কথা বলেছেন।’

শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মুন্সী কামরুল হাসান অনিক বলেন, ‘যেহেতু সে আসবে না তাই আমরা এখন ফোনে তার সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করব। আজকে আমাদের তদন্ত কার্যক্রমের শেষ দিন। আজকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।’

জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে এসে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী। ঘটনাটি দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার জন্ম দিলে ১৫ ফেব্রুয়ারি চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শাখা ছাত্রলীগ। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এর মাঝে হল, বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।

তিন তদন্ত কমিটির ডাকে গত ১৮, ২০ ও ২২ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে এসে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ভুক্তভোগী। এসব দিনে ভুক্তভোগী ক্যাম্পাসে পৌঁছালে গেট থেকে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিরাপত্তা দেয় প্রক্টরিয়াল টিম। এই দিন গুলোতে ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি ভুক্তভোগীর বক্তব্য গ্রহণ করেনি। তবে ওই দিনগুলোতে তারা অভিযুক্ত সানজিদাসহ অন্যান্যদের বক্তব্য নিয়েছিল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.