মাগুরায় স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের সময় অন্তত একটি গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ক্যাপ পরা এক যুবক একটি আগ্নেয়াস্ত্র নাড়াচাড়া করছেন। পুলিশ বলছে, গুলির শব্দ তারা পায়নি। তবে অস্ত্র হাতে যুবকের ছবি নজরে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, ‘ছবিটি আমাদের নজরে এসেছে। ওই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। পরিচয় জানতে পারলেই ধরে ফেলব। তবে গুলির কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই।’
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে চৌরঙ্গী মোড় থেকে মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ফটকের সামনে কলেজ রোডে। এলাকাটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ১০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, বিএনপির একটি মিছিল আসছিল জেলা জজ আদালতের দিক থেকে। মিছিলের একটি অংশ চৌরঙ্গী মোড় পার করে সৈয়দ আতল আলী সড়কে প্রবেশ করেছিল। এমন সময় ছাত্রলীগের একটি দল লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়। এতে মিছিলটি কিছুক্ষণের জন্য ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে বিএনপির কর্মীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের কলেজ রোডের দিকে ধাওয়া দেয়। এ সময় কলেজ রোডের দিক থেকে অন্তত একটি গুলির শব্দ পাওয়া যায়। পরে গুলির খোসাও দেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনার পর গতকাল বুধবার রাতে ফেসবুকে অস্ত্র হাতে এক যুবকের স্থিরচিত্র ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি কলেজ রোডের একটি বিপণিবিতান থেকে ধারণ করা। তাতে দেখা যায়, মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এক যুবক অস্ত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন। তাঁর মাথায় ক্যাপ ও মুখে মাস্ক ছিল। তিনি ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের দাবি।
ওই যুবক ছাত্রলীগের কর্মী কি না, জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটা কার বা কবের ছবি, সেটা স্পষ্ট নয়।’
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম জাহিদের দাবি, ‘ছাত্রলীগ নেতাদের অস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল হয়েছে। এরপরও আমাদের নেতা–কর্মীদেরই হয়তো হয়রানি করা হবে।’
সদর থানার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় আজ দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি এজাহার দেওয়া হয়েছিল। সেটিতে ত্রুটি থাকায় সংশোধন করতে বলা হয়েছে।