কিউইদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি জিতে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের সামনে ছিল দারুণ সুযোগ। সিরিজ জয়ে চোখ রেখে খেলতে নেমেছিল টিম টাইগার্স। খেলার মাঝপথে বৃষ্টি নামায় পরে আর খেলা গড়ায়নি। ফলে অপেক্ষা বাড়লেও লাল-সবুজের দলের সিরিজ জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী তাওহিদ হৃদয়। রোববার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে শেষ ম্যাচটা জিতলেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ।
নিজেদের ছন্দ ধরে রেখে সিরিজ জিততে পুরো বাংলাদেশ উদগ্রীব হয়ে আছে। সংবাদ সম্মেলনে তাওহিদ হৃদয় বলেছেন, ‘চিন্তা ভাবনা আগের ম্যাচগুলোতে যেমন ছিল, এখনো একই আছে। এটা ভালো সুযোগ নিজেদের যে সম্ভাবনা আছে সেটা কাজে লাগানোর। আশা করি যে ফ্লোতে আছি, সেটা চালিয়ে যাবো।’
হৃদয়ের প্রত্যাশা ভালো কিছুরই, ‘এখন যেটা মনে হয় আমার কাছে টি-টোয়েন্টি আলাদা একটা ফরম্যাট। আরো ভালো কিছু করার আছে, আমি মনে করি আমাদের দলের যে অবস্থায় আছে প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান ভালো ফলোতে আছে। ইনশাআল্লাহ এখান থেকে যদি দুই একজন খেলতে পারি তাহলে ভালো কিছু হবে।’
নিউজিল্যান্ডে নিজের ব্যাটিং নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ যতুটুকু হয়েছে আর কি আমি মনে করি আরো দেওয়ার ছিল ভালোর তো শেষ নেই। একটা আনলাকি আউট হয়ে গিয়েছি, রান আউট। যেটা প্রথম ম্যাচটা খেলেছিলাম ডানেডিনে ওখানে আমার খেলাটা শেষ করা উচিত ছিল। যদি খেলাটা শেষ করতে পারতাম তাহলে আমরা ম্যাচটা জিতেও যেতে পারতাম। আমি আর আফিফ ছিল ওই সময়ে।’
দলের পরিবেশ নিয়ে টাইগার এ ব্যাটার বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ সো ফার, দল যখন রেজাল্ট করে, তখন টিমের সব কিছুই ভালো থাকে— এটিই স্বাভাবিক।’
সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আগামী বছরের জুনে ২০ দলের অংশগ্রহণে হবে এই টুর্নামেন্ট। হৃদয়ের চোখ সামনের বিশ্বকাপেও। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটা ম্যাচই এখন থেকে গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বেশি সময় নেই। আমাদের হাতে খুব বেশি ম্যাচ আছে, তাও নয়। সামনে বিপিএল আছে, তারপর হয়তো বা দুই-একটা সিরিজ আছে। আমাদের প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য প্রতিটা ম্যাচ অনেক বড় সুযোগ। আমরা সুযোগ ভালোভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো। যেহেতু সামনে বিশ্বকাপ, আমার মনে হয় প্রত্যেকটা খেলোয়াড় তাদের পরিকল্পনা নিয়ে ভালোভাবেই জানে। সেভাবেই সবাই কাজ করছে।’
চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে দারুণ সময় কাটছে বাংলাদেশের। এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচ খেলে এসেছে ১০ জয়, ২ হার। আরেকটির ফল হয়নি। ১৩ ম্যাচের মধ্যে আছে অবশ্য এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে খেলা তিন ম্যাচও।