সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত সেসব ছবিতে ক্রেমলিন থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে মস্কোর মধ্যাঞ্চলে একটি ভবনের ছাদে পন্তশির–এস১ নামের বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা দেখা গেছে। এ ছাড়া রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের ছাদে একটি পন্তশির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দেখা গেছে।
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার মস্কোয় মন্ত্রণালয়গুলোর প্রধান ভবনে এমন কিছু দেখা গেছে, যা একটি বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থার মতো।
মস্কোয় হামলা হতে পারে কি না, শুক্রবার এই প্রশ্ন করা হয়েছিল ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভকে। তবে তিনি এ প্রশ্ন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে করতে বলেন।
পেসকভ বলেন, ‘সাধারণত তারাই (প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়) দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্বপ্রাপ্ত, বিশেষত রাজধানী মস্কোর। ফলে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ই ভালো বলতে পারবে।’ তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া পায়নি এএফপি।
পন্তশির–এস১ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা যুদ্ধবিমান এবং ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্রের আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে। স্বাধীন রুশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী মস্কোর অদূরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন থেকে ১০ কিলোমিটার দূরেও একটি পন্তশির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন হয়েছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা অ্যান্তন গেরাশেঙ্কো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘এসব কী হচ্ছে, আমি তো অবাক হচ্ছি।’ ভিডিওতে দেখা যায়, পুতিনের বাসভবনের আশপাশে একটি বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কোর উত্তরে লজিনি অস্ট্রভ নামের একটি পার্ক এবং রাজধানীর একটি কৃষি ইনস্টিটিউটে একাধিক এস–৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করতে দেখা গেছে। ভূমি থেকে আকাশে ক্ষেপণযোগ্য এস–৪০০ রাশিয়া তথা সারা বিশ্বের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।
এসব নিয়ে টুইটারে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মাইকেল হরোইৎজ। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘মস্কোতে ইউক্রেনের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে রাশিয়া উদ্বিগ্ন। ক্রেমলিনের নেতারা ইউক্রেনের হামলার সম্ভাব্য হুমকির বিষয়টি নিয়ে খেলতে চাইছেন নয়তো সম্ভাব্য একটি অভ্যুত্থানের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন।’